মহম্মদ হাসিম, নকশালবাড়ি: বিয়েবাড়িতে বছর ষোলোর এক নাবালিকাকে গণধর্ষণের অভিযোগে (Gang Rape Case) ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়াল নকশালবাড়িতে (Naxalbari)। মঙ্গলবার অভিযোগ দায়েরের এক ঘণ্টার মধ্যে পাঁচ অভিযুক্তকে পাকড়াও করেছে পুলিশ। তারা নকশালবাড়ি সাতভাইয়া চা বাগান এলাকার বাসিন্দা বলে পুলিশ জানিয়েছে। তারা আরও জানায়, মাটিগাড়া (Matigara) ব্লকের এক চা বাগানের (Tea Garden) বাসিন্দা ওই নাবালিকা রবিবার নকশালবাড়িতে এক আত্মীয়ের বাড়ির বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসেছিল।
অভিযোগ সোমবার রাতে ওই নাবালিকাকে বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে এক পরিচত তরুণ ফুসলিয়ে চা বাগানের এক প্রান্তে নিয়ে যায়। সেখানে ওই তরুণের সঙ্গীরা আগে থেকে লুকিয়ে ছিল। এরপর খুনের হুমকি দিয়ে পাঁচ তরুণ তার উপর পাশবিক অত্যাচার চালায় বলে অভিযোগ। মঙ্গলবার সকালে ওই নাবালিকাকে ওই পাঁচ তরুণের একজন বাসে করে নিয়ে গিয়ে মাটিগাড়ার ওই চা বাগানে ছেড়ে দিয়ে আসে। তবে, নাবালিকার শারীরিক অবস্থা দেখে পরিবারের সবার সন্দেহ হয়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই সে গোটা ঘটনার কথা জানায়। সব শুনে নাবালিকার মা-বাবা সহ প্রায় ৪০ জন গ্রামবাসী মাটিগাড়া থেকে গিয়ে নকশালবাড়ি থানা ঘেরাও করেন। থানায় গোটা ঘটনাটি জানিয়ে লিখিতভাবে অভিযোগ দায়ের করা হয়। নাবালিকা সহ মা-বাবাকে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করে। পরে ওই নাবালিকার গোপন জবানবন্দিও নেয়। খবর পেয়ে দার্জিলিং জেলা পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্তারা থানায় আসেন। জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অভিষেক রায়ের নেতৃত্বে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়। পকসো মামলায় অভিযোগ দায়েরের ভিত্তিতে পুলিশ তদন্তে নেমে সন্দেহজনক সাত তরুণকে বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রথমে আটক করে।
নাবালিকার গোপন জবানবন্দির ভিত্তিতে আটক তরুণদের শনাক্তকরণের পর পাঁচ তরুণকে চিহ্নিত করে গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশ সুপার প্রবীণ প্রকাশ জানান, ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ধৃতদের মধ্যে কয়েকজন নাবালকও রয়েছে। তাদের বয়স যাচাই করা হচ্ছে। বুধবার ধৃতদের আদালতে তোলা হবে।