উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: বেঙ্গালুরুতে বিরোধী জোটের বৈঠক এক নতুন মাইলস্টোন তৈরি করল। মঙ্গলবার দুপুরে জোটের বৈঠক থেকে বেরিয়ে সপা নেতা অখিলেশ যাদবকে পাশে নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘জোটের বৈঠক ভাল হয়েছে। গঠনমূলক হয়েছে। এই বৈঠকের ফল ভাল হবে। তা আগামী দিনে দেশের জন্যও ভাল হবে।’ প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, একটু পিছনের দিকে তাকালেই দেখা যাবে, এই কংগ্রেসের বিরুদ্ধেই তৃণমূল অভিযোগ তুলছিল যে সাবেক জাতীয় দল বিগ ব্রাদারের মতো আচরণ করছে। ষাট, সত্তর বছর ধরে ক্ষমতায় থাকার হ্যাংওভার কংগ্রেসের কাটেনি। কিন্তু বেঙ্গালুরুর বৈঠকে যেন পুরোনো সব অভিযোগ ফুৎকারে উড়িয়ে দিয়ে নতুন করে শুরু করার বার্তা দিলেন সনিয়া-রাহুল। বোঝাতে চাইলেন, কংগ্রেস শুধু নিজের কথা বলছে না, সমমনোভাবপন্ন দলগুলির স্বরকেও দেশের মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে সমান আগ্রহী।
বেঙ্গালুরুতে জোটের বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে যে কংগ্রেস মর্যাদা দিচ্ছে তা সোমবার সন্ধের বৈঠকেই পরিষ্কার হয়ে যায়। শুরুতে ঠিক ছিল যে মমতা নৈশভোজের বৈঠকে যাবেন না। কারণ, পায়ের ব্যাথা পুরোপুরি সারেনি। ডাক্তাররা এখনও মুভমেন্ট কম রাখতে বলছেন। কিন্তু নাছোড় ছিল কংগ্রেস। সনিয়া গান্ধী দূত মারফৎ মমতাকে বার্তা পাঠান যে নৈশভোজের সভায় তাঁকে আসতেই হবে। সনিয়া গান্ধীর ঠিক ডান পাশে মমতার বসার আসন রাখা হয়। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, রাজনীতিতে অনেক কিছুই বার্তাবহ। সোমবারের বৈঠকে সনিয়ার পাশে যেভাবে মমতাকে বসার জন্য আসন রাখা হয়েছিল, তাতেই স্পষ্ট যে তৃণমূলনেত্রীকে যথাযোগ্য মর্যাদা দিচ্ছে কংগ্রেস। মঙ্গলবার মমতার কথাতেও পরিষ্কার যে এখনও পর্যন্ত জোটের বৈঠকে যে আলোচনা হয়েছে তাতে তিনি সন্তুষ্ট।
তবে রাজনীতিতে কোনও কিছুই অ্যাবসোলিউট নয়। এখনই বলা সম্ভব নয় যে এই জোট শেষমেশ পূর্ণতা বা ইতিবাচক পরিণতি পাবে। বরং তা দেখার জন্য আরও কিছু সময় অপেক্ষা করতে হবে সবাইকে। কেননা এই জোটের রাজনীতি রাজ্য তথা দেশবাসী এর আগেও দেখেছে। তবে ২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচনের আগে জোটের ভবিষ্যৎ কি হতে চলেছে তা শুধু সময়ই বলবে।