আসানসোলঃ সিবিআই, ইডি, আইটি বা আয়কর দপ্তররের পর এবার কেন্দ্রীয় এজেন্সির তালিকায় নবতম সংযোজন অন্য এক কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ বা ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি। রাজ্যে লোকসভা নির্বাচনে দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রচারে আসার দিন রবিবার সকালে বাংলার শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস সরাসরি এনআইএর সঙ্গে বিজেপির যোগসাজশের অভিযোগ আনল। স্বাভাবিক ভাবেই যা রাজ্য রাজনীতিতে শোরগোল পড়েছে।
এদিন কলকাতায় তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য নেতা কুণাল ঘোষ সাংবাদিক সম্মেলনে তথ্য দিয়ে দাবি করেন, আসানসোল পুরনিগমের প্রাক্তন মেয়র বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তেওয়ারি এনআইএর এসপি ধনরাম সিংয়ের আবাসনে গিয়েছিলেন গত ২৬ মার্চ সন্ধ্যে সাড়ে ছটায়। সেখানে তিনি ছিলেন ৭ বেজে ২২ মিনিট পর্যন্ত। অর্থাৎ ৫২ মিনিট তিনি সেখানে ছিলেন। কুণালের দাবি, জিতেন্দ্র তেওয়ারির হাতে একটা সাদা প্যাকেট ছিল। এনআইএর এসপির আবাসনে যাওয়ার ভিজিটার্স বুকে জেকে তেওয়ারির নামের সঙ্গে তাঁর মেয়ের বাড়ির ঠিকানা ছিল। মাঝে মধ্যেই জিতেন্দ্র তেওয়ারি তার স্ত্রী চৈতালি তেওয়ারিকে নিয়ে সেখানে যান। কুণাল ঘোষ এদিন আরও বলেন, জিতেন্দ্র তেওয়ারি বা এনআইএ এই তথ্য অস্বীকার করলে আমরা ৪৮ ঘন্টার মধ্যে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সামনে আনব।
কুণাল ঘোষের এই দাবি অস্বীকার করেন জিতেন্দ্র তেওয়ারি। এদিন আসানসোলে সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, আমি এনআইএর মুখপাত্র নই। কিছু বলার থাকলে তারা বলবে। আর যারা আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করছে, তাদের দায়িত্ব সেটা প্রমাণ করা। দেশের আইন তা বলে। আমি সাতদিন সময় দিচ্ছি। এর মধ্যে তথ্য দিয়ে সব প্রমাণ করতে হবে। তা না হলে, তারপর আমি মানহানির মামলা করব।
ঘটনাচক্রে, ২০২২ সালের ২ ডিসেম্বর পূর্ব মেদিনীপুরের ভগবানপুর -২ নং ব্লকের ভুপতিনগর থানা এলাকায় তৃণমূল কংগ্রেসের বুথ সভাপতির বাড়িতে বিস্ফোরণের তদন্ত করছে এনআইএ। শনিবার ভোররাতে সেই ঘটনার তদন্তে ঐ এলাকায় গিয়ে আক্রান্ত হন এনআইএ৷ তাঁদের একটি গাড়িতে ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় এনআইএর দুই আধিকারিক আহত হয়েছেন বলে দাবি করা হচ্ছে। ভোট প্রচারের মধ্যে এই ঘটনা নিয়ে যখন উত্তপ্ত বঙ্গ রাজনীতি, ঠিক তখন কুণাল ঘোষের এদিনের দাবি নতুন মাত্রা পেয়েছে।