জামালদহ: ব্যবধান মাঝে ২৪ ঘণ্টার। এর মাঝে নিভৃতবাসে গেলেন আরও একটি গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপির জয়ী সদস্যরা। আর এতেই শোরগোল পড়েছে মেখলিগঞ্জজুড়ে। শনিবার বাগডোগরা ফুলকাডাবরি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বিজেপির জয়ী সদস্যরা নিভৃতবাসে গিয়েছেন। আর রবিবার সেই পথ অনুসরণ করে নিভৃতবাসে গেলেন জামালদহের বিজেপির নয় সদস্য।
মেখলিগঞ্জ ব্লকের আটটি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে এবারের পঞ্চায়েত ভোটে পাঁচটি গিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের ঝুলিতে। দুটি গ্রাম পঞ্চায়েতে জয়ী হয়েছে বিজেপি। একমাত্র জামালদহ গ্রাম পঞ্চায়েতের ভোটের ফলাফল ত্রিশঙ্কু হয়েছে। কুড়ি আসন বিশিষ্ট জামালদহ গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূল জিতেছে ১০টি আসনে, বিজেপির ঝুলিতে ৯টি ও একটি আসন পেয়েছে সিপিআইএম। জামালদহে বোর্ড গঠনের ম্যাজিক ফিগার হল ১১। সেটা শাসক কিংবা বিজেপি কারও ঝুলিতে যায়নি। এদিকে, একমাত্র আসনে জয়লাভ করা সিপিআইএম আগেই স্পষ্ট করে দিয়েছে তাদের অবস্থান। বামনেতা আতাবুল ইসলাম বলেছেন, তাঁরা কোনও পক্ষকেই সমর্থন করবেন না। বোর্ড গঠনের দিন তাঁরা নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করবেন।
জামালদহে বোর্ড গঠন আগামী ৯ অগাস্ট। বোর্ড গঠনের ঠিক ৪৮ ঘণ্টা আগে জামালদহ ছাড়লেন বিজেপির জয়ী নয়জন সদস্য। সঙ্গে রয়েছেন স্হানীয় বিজেপি নেতৃত্ব। রবিবার দুপুরে তাঁরা জামালদহ ছেড়ে নিভৃতবাসে গিয়েছেন। সূত্রের খবর, তাঁরা পাহাড় কিংবা জঙ্গলের কোনও রিসর্টে এ আশ্রয় নিয়েছেন।
এবিষয়ে বিজেপির জলপাইগুড়ি জেলা সাধারণ সম্পাদক দধিরাম রায় বলেন, ভয় কিংবা প্রলোভন কোনওটাই নয়। জামালদহের জয়ী সদস্যরা হাওয়া বদল করতে বাইরে গিয়েছেন।
এদিকে, বিজেপির এই নিভৃতবাস নিয়ে কটাক্ষের সুর শোনা গেল তৃণমূল কংগ্রেসের মেখলিগঞ্জ ব্লক সভাপতি কেশবচন্দ্র বর্মনের গলায়। তিনি বলেন, বিজেপির এই রিসর্ট পলিসি মেখলিগঞ্জে চলবে না। জামালদহে তৃণমূল কংগ্রেস বোর্ড গঠন করবে। জয়ী ১০ সদস্য একজোট রয়েছে।