রায়গঞ্জ: ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে বন্ধুত্বের সম্পর্ক অটুট রাখতে বিশেষ উদ্যোগ নিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের সহকারী হাইকমিশনার মনোজকুমার। মঙ্গলবার বাংলাদেশের এক প্রতিনিধিদল উত্তর দিনাজপুর জেলার রাধিকাপুরে ভারত-বাংলাদেশের সীমান্ত এলাকায় এসে রায়গঞ্জের বণিক সভার সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করেন। যদিও ভারতের নির্বাচনের জন্য বিধিনিষেধ থাকায় জিরো পয়েন্টের আগেই বাংলাদেশের প্রতিনিধিরা ছিলেন। অন্যদিকে, রায়গঞ্জের বণিকসভার সদস্যরা ভারতের রাধিকাপুর সীমান্ত এলাকায় ছিলেন। দুই দেশের প্রতিনিধিরা কাছাকাছি আসতে পারেননি।
তাদের মধ্যে বিরলে স্থলবন্দর নির্মাণ, ভিসা ও অভিবাসন দপ্তর চালুর ব্যাপারে বিস্তারিত আলোচনা হয়। জানা গিয়েছে, বৈঠকের আগে বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনার মনোজ কুমার বিরল স্থলবন্দর ও রেললাইন পরিদর্শন করেন। উল্লেখ্য, বর্তমানে বিরলে রেলওয়ের মাধ্যমে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম চালু আছে। কিন্তু লরির মাধ্যমে মালপত্র আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম চালু নেই। দুই দেশের মানুষদের দীর্ঘদিনের দাবি ভারত-বাংলাদেশ রাধিকাপুর সীমান্তে স্থল বন্দর সহ ভিসা ও অভিবাসন দপ্তর চালুর। তবে রাধিকাপুর সীমান্ত দিয়ে দুই দেশের মানুষ পাসপোর্ট দিয়ে যাতায়াত করতে পারবে। স্থলবন্দরটি অর্থনৈতিক গুরুত্ব বহন করে।
পশ্চিম দিনাজপুর চেম্বার অফ কমার্সের সাধারণ সম্পাদক শঙ্কর কুন্ডু জানান, আমাদের বণিকসভার এক প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া রাধিকাপুর গিয়েছিলেন। উলটোদিক থেকে বাংলাদেশের সহকারী হাই কমিশনার মনোজ কুমারের নেতৃত্বে আরেক প্রতিনিধি দল সীমান্ত বিরলে এসেছিলেন। ভারতের নির্বাচনের জন্য সীমান্ত এলাকায় বিএসএফের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে, তাই খুব কাছাকাছি গিয়ে বৈঠক করা যায়নি। বিরল স্থল বন্দর চালুর পাশাপাশি ভিসা ও অভিবাসন দপ্তরের চালু নিয়ে বৈঠক হয়। সহকারী হাই কমিশনার এ ব্যাপারে যথেষ্ট সদর্থক ভূমিকা নিয়েছেন। কারণ বিরলে স্থল বন্দর চালু হলে উত্তর দিনাজপুরের সঙ্গে বাংলাদেশের ব্যবসা বানিজ্য অনেক বেড়ে যাবে। সাধারণ মানুষ পাসপোর্ট নিয়ে যাতায়াত করতে পারবেন।
বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের সহকারী হাইকমিশনা মনোজ কুমার জানিয়েছেন, ভারত-বাংলাদেশ ভ্রাতৃপ্রতীম দুই দেশের মধ্যে সুসম্পর্ক দীর্ঘ দিনের। বন্ধুত্বের অটুট সম্পর্কে সবসময় একে অপরের পাশে থেকেছে অর্থনৈতিকভাবে। বিরলে এখন রেলওয়ের মাধ্যমে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম চালু আছে। অতি শীঘ্রই ভিসা সেন্টার ও ইমিগ্রেশন চালুর ব্যাপারে সকল প্রতিবন্ধকতা দূরীকরণের আশ্বাস দিয়েছেন।
