নয়াদিল্লি: সুপ্রিম কোর্টে একের পর এক ধাক্কা সমলিঙ্গের যুগলদের। মঙ্গলবার খারিজ হয়েছে সমলিঙ্গের যুগলদের বিবাহের দাবি। একই সঙ্গে ওই দিনে খারিজ হয়ে গেল সন্তান দত্তক নেওয়ার দাবিও। জানা গিয়েছে, সন্তানও দত্তক নিতে পারবেন না সমলিঙ্গের যুগলরা।
সমলিঙ্গ বিয়ের আইনি বৈধতা চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ‘এলজিবিটিকিউ’ সম্প্রদায়ের মানুষরা। মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্ট সমকাম বিবাহে স্বীকৃতি দেয়নি। বল তারা কেন্দ্রীয় সরকারের কোর্টে ঠেলেছে। এক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকারকে পদক্ষেপ করতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে ‘এলজিবিটিকিউ’ সম্প্রদায়ের মানুষরা সন্তান দত্তকের নেওয়ার অধিকারও চেয়েছিলেন। সেই অধিকারের দাবিও হোঁচট খেয়েছে শীর্ষ আদালতে। এদিন প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি সঞ্জয় কিষাণ কল, বিচারপতি এস রবীন্দ্র ভট্ট, বিচারপতি হিমা কোহলি এবং বিচারপতি পিএস নরসিমা- সুপ্রিম কোর্টের এই পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চে মামলার শুনানি ছিল। পাঁচ বিচারপতির মধ্যে তিনজনই সমলিঙ্গের যুগলদের সন্তান দত্তক নেওয়ার বিরোধিতা করেছেন। বাকি দুই বিচারপতি দত্তক নেওয়ার পক্ষে মত দেন। এদিন দত্তক নেওয়ার পক্ষে মত দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় এবং বিচারপতি সঞ্জয় কিষাণ কল। কিন্তু বিচারপতি রবীন্দ্র ভাট, হিমা কোহলি এবং পিএস নরসিমা দ্বিমত পোষণ করেন। সংখ্যা গরিষ্ঠ বিচারপতির সমর্থন বিপক্ষে যাওয়ায় সমলিঙ্গের যুগলরা সন্তান দত্তক নিতে পারবেন না। তবে সমকামী যুগলদের স্বার্থ রক্ষার প্রশ্নে কেন্দ্রকে বিভিন্ন পরামর্শ দিয়েছে শীর্ষ আদালত।