সামসী: ২০২ বছরে পড়ল ডুমরো মিশ্র বাড়ির দুর্গাপুজো। এটি চাঁচল-২ ব্লকের পুজোগুলির মধ্যে অন্যতম। ডুমরো মিশ্র বাড়ির দুর্গাপুজো পারিবারিক পরিমণ্ডল ছাড়িয়ে সর্বজনীন দুর্গোৎসবে পরিণত হয়েছে। ডুমরো মিশ্র বাড়ির দুর্গাপুজোয় ছাগ বলি ও পাঠা বলির রীতি আজও বিদ্যমান।
মিশ্র পরিবারের সদস্য শিবম মিশ্র, সোনাই মিশ্র রা জানান, আমাদের পূর্ব পুরুষ গোলকনাথ মিশ্র দেবী মায়ের স্বপ্নাদেশে মা দুর্গার পুজোর প্রচলন করেন। এই পুজো এবার ২০২ বছরে পা দিল। তাঁদের পূর্ব পুরুষরা বিহারের দ্বারভাঙায় বসবাস করতেন। তাঁরা সেখান থেকে রতুয়া কাহালায় আসেন। তারপর চাঁচল-২ ব্লকের ডুমরোতে জমিদারি কিনে বসবাস শুরু করেন ও দুর্গা মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন। তারপর বংশ পরম্পরায় এই পুজো হয়ে আসছে। মহালয়ার পর প্রতিপদে ঘট ভরা হয় এবং দেবী দুর্গার কাছে চণ্ডীপাঠ করা হয়।
ডুমরো মিশ্র বাড়ি পরিবারের আরেক সদস্য প্রদীপ মণ্ডল জানান, এবার পুজোর বাজেট প্রায় এক লক্ষ বাহাত্তর হাজার টাকার মতো। প্রতি বছর এই পুজো অনুষ্ঠিত হয় অতীত ঐতিহ্য ও পরম্পরা রক্ষা করে। পঞ্চমী থেকে দশমীর দিন পর্যন্ত দেবীদুর্গার দর্শনে ভিড় জমান এলাকার ধর্ম প্রাণ হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ। অতীত ঐতিহ্য ও পরম্পরায় স্থায়ী মন্দিরে একচালায় নিয়ম নিষ্ঠার সঙ্গে পুজো পালন করা হয়। ডুমরো মিশ্র বাড়ির দুর্গাপুজোকে ঘিরে আজও সপ্তমীর দিন পাঠা বলির রীতি রয়েছে। পাঠা বলির পর অন্ন-মাংসের ভোগ দুর্গা মায়ের কাছে অর্পণ করা হয়। নবমীতে ছাগ বলি হয়। মা দুর্গাকে অন্ন-মাংসের ভোগ নিবেদন করা হয়। ওই দিনই সর্ব সাধারণকে খিচুড়ির ভোগ খাওয়ানো হয়। পুজোকে ঘিরে দশমীর দিন বিরাট মেলা বসে। মেলায় প্রচুর লোক সমাগম হয়। দশমীর রাতেই মা দুর্গার বিসর্জন করা হয়।