উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ ‘নো ডিউজ’ সার্টিফিকেট জমা দিতে না পারায় মনোনয়ন পত্র বাতিল হয়েছে বীরভূমের বিজেপি প্রার্থী তথা প্রাক্তন পুলিশ আধিকারিক দেবাশিস ধরের। আদালতে গিয়েও সুরাহা হয়নি। প্রাক্তন পুলিশ আধিকারিকের মনোনয়ন বাতিল করেছে নির্বাচন কমিশন। আর কমিশনের এই সিদ্ধান্তকে মান্যতা দিয়েছে হাইকোর্ট এবং সুপ্রিম কোর্ট। এই ঘটনার পর ‘নো ডিউজ’ বিষয়টি নিয়ে নড়েচড়ে বসল কমিশন।
দিল্লিতে গিয়ে ইস্তফা দিয়ে বিজেপির হয়ে ভোটে দাঁড়িয়ে ছিলেন প্রাক্তন আইপিএস দেবাশিস ধর। তিনি বীরভূম থেকে বিজেপির প্রার্থী হয়েছিলেন। তিনি পদত্যাগ করলেও রাজ্য সরকার তাঁকে ‘নো ডিউজ’ সার্টিফিকেট দেয়নি। মনোনয়নপত্রের সঙ্গে ‘নো ডিউজ’ সার্টিফিকেট জমা না দেওয়ার কারণে প্রার্থী পদ বাতিল করে দেয় নির্বাচন কমিশন। এই ঘটনা সামনে আসতেই নড়েচড়ে বসে নির্বাচন কমিশন। কমিশনের পক্ষ থেকে সব রাজ্য সরকারকে জানানো হয়েছে, কোনও সরকারি কর্মী চাকরি ছেড়ে নির্বাচনে লড়তে চাইলে পদত্যাগপত্র জমা দেওয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তাঁকে ‘নো ডিউজ’ সার্টিফিকেট দিতে হবে সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকারকে।
কী এই ‘নো ডিউজ’ সার্টিফিকেট? সরকারি চাকরি ছেড়ে ভোটে লড়তে হলে অন্যান্য শংসাপত্র জমা দেওয়ার পাশপাশি আগের ১০ বছরের সরকারের কাছে কোনও বকেয়া আছে কিনা তা জানাতে হয়। বিদ্যুতের বিল, বাড়ি ভাড়া, জলের বিলের মতো বিষয়গুলি কোনও বকেয়া আছে কিনা তা হলফনামা দিয়ে জানাতে হয়। যদি সরকারের কোনও কিছু পাওনা না থাকে তবে ‘নো ডিউজ’ সার্টিফিকেট দেয়। বকেয়া থাকলেও তা মিটিয়ে সেই শংসাপত্র নিতে হয়। না হলে শুধু মনোনয়ন নয় সমস্যায় পড়তে হয় অবসরকালীন সরকারি সুবিধা পেতে।