হেমতাবাদ: নেই রেলিং, কংক্রিটের বিভিন্ন স্তম্ভে একাধিক ফাটল। যে কোনও মুহূর্তে ঘটে যেতে পারে কোনও বড় দুর্ঘটনা। হেমতাবাদ ব্লকের ভারত বাংলাদেশ সীমান্তের যোগাযোগকারী প্রায় ১০০টি গ্রামের এই দেহুচি সেতু দিয়ে এভাবেই চলছে ঝুঁকির যাতায়াত। কিন্তু তাতেও প্রশাসনের কার্যত কোনও হেলদোল নেই বলে অভিযোগ হেমতাবাদ ব্লকের স্থানীয়দের একাংশের। এক বছরেই সেতুর ওপর ৩০টি দুর্ঘটনা ঘটেছে। তার মধ্যে ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।
হেমতাবাদের আরাজি কাশিমপুর লাগোয়া এই গ্রামীণ সড়কের ওপর দেহুচি সেতু অবস্থিত। কিন্তু এই সেতুর প্রায় ৫০ মিটার এলাকা অত্যন্ত বিপজ্জনক অবস্থা। নোটিশ দেওয়া সত্ত্বেও প্রবল ঝুঁকি নিয়ে রোজ কয়েকশো যানবাহন চলাচল করছে। রাতদিন নিয়ন্ত্রণহীণভাবে দ্রুতগতিতে পণ্যবাহী লরি থেকে শুরু করে টোটো, অটো নির্বিবাদে চলাচল করে। সেতুতে ওঠার দুই ধারে লোহার রেলিং ভেঙে পড়ে রয়েছে। এই অবস্থায় প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে প্রায় ১০০টি গ্রামের বাসিন্দারা সেতুর উপর দিয়ে যাতায়াত করতে কার্যত বাধ্য হচ্ছেন।
জেলা সেচ দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৯৯৮ সালে তৎকালীন পূর্তমন্ত্রী ক্ষীতি গোস্বামী এই সেতুর উদ্বোধন করেন। চালু হওয়ার প্রায় ৩৫ বছরের মধ্যে একবারও কোনও সংস্কার হয়নি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই সেতুটির। দেখভালের অভাবে সেতুর চেহারা ভেঙে পড়ার উপক্রম। এবিষয়ে জেলা পরিষদের সভাধিপতি পম্পা পাল বলেন, ‘যে জায়গায় সেতু দুর্বল রয়েছে তা দ্রুত মেরামত করা হবে।’