খড়িবাড়ি: সরকারি জমি দখলের অভিযোগ উঠল পাহাড়গুমিয়া চা বাগান কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি খড়িবাড়ি ব্লকের বুড়াগঞ্জ এলাকার। বৃহস্পতিবার বন দপ্তর, ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তর এবং শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের তরফে যৌথভাবে উদ্যোগ নিয়ে দখল হওয়া সরকারি জমিটি চিহ্নিত করা হয়। পরে সেখানে খুঁটি লাগিয়ে দেওয়া হয়। তবে এর প্রতিবাদ জানিয়েছে পাহাড়গুমিয়া চা বাগান কর্তৃপক্ষ।
খড়িবাড়ি ব্লকের বুড়াগঞ্জে বন দপ্তরের ১৫৬ বিঘা জমি দখল করে চা বাগান তৈরির অভিযোগ উঠেছে পাহাড়গুমিয়া চা বাগান কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। ঘোষপুকুর রেঞ্জ অফিস সূত্রে জানা যায়, বুড়াগঞ্জ গ্রাম পঞ্চায়েতের জাত্রু মৌজায় ১৫৬ বিঘা সরকারি জমি বন দপ্তরের অধীনে রয়েছে। ওই জমির পাশেই রয়েছে পাহাড়গুমিয়া চা বাগানের লিজভুক্ত জমি। এলাকায় বন দপ্তরের তেমন নজরদারি নেই। অভিযোগ, এই সুযোগকে লাগিয়ে সরকারি জমি দখল করে চা গাছ লাগিয়েছে পাহাড়গুমিয়া কর্তৃপক্ষ।
২০২২ সালে জমির সমীক্ষা করতে গিয়ে বিষয়টি বন দপ্তরের নজরে আসে। এরপর বারবার বাগান কর্তৃপক্ষকে সরকারি জমি দখলমুক্ত করার জন্য বলা হলেও কাজের কাজ কিছু হয়নি। বাধ্য হয়ে এদিন বন দপ্তরের ঘোষপুকুরের রেঞ্জার প্রমিত লালের নেতৃত্বে সরকারি জমি চিহ্নিত করে খুঁটি লাগানো হয়। উপস্থিত ছিলেন শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের বন ও ভূমি কর্মাধ্যক্ষ কিশোরীমোহন সিংহ এবং খড়িবাড়ির ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তরের কর্মীরা। রেঞ্জার প্রমিত লালের কথায়, ‘এই জমি হাতির করিডর। বাগান কর্তৃপক্ষ বন দপ্তরের জমি দখল করে চা বাগান লাগিয়েছে। জমিটি এদিন চিহ্নিত করা হয়েছে। খুঁটি লাগানোর কাজ শুরু হয়েছে।’
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন পাহাড়গুমিয়া চা বাগানের ডেপুটি ম্যানেজার চন্দন কুমার। তিনি খুঁটি লাগানোর বিরোধিতা করেন। চা বাগান সূত্রে জানা গিয়েছে, ১১ ডিসেম্বর চা বাগান কর্তৃপক্ষের তরফে এবিষয়ে উচ্চ আদালতে একটি পিটিশন দাখিল করা হয়েছে। ডেপুটি ম্যানেজারের দাবি, ‘১৯৩৪ সাল থেকে এই জমিতে চা গাছ লাগানো রয়েছে। এই জমি সরকার নিয়ে নিলে কয়েক হাজার পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হবে।’
শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের তরফে এদিন ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন বন ও ভূমি কর্মাধ্যক্ষ কিশোরীমোহন সিংহ। তিনি বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে শিলিগুড়ি মহকুমার সমস্ত সরকারি জমি দখলমুক্ত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সরকারি জমি দখলমুক্ত করে ল্যান্ড ব্যাংক তৈরি করা হবে।’