উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: লোকসভায় বহিস্কারের ধারা অব্যাহত৷ এমনকি প্রতিবাদী সাসংদদের কক্ষের বাইরে পাঠাতে সরকার এতটাই তৎপর যে এমন সাংসদকেও বহিষ্কার করা হয়েছে যিনি আজ সংসদেই নেই। বৃহষ্পতিবার সকাল থেকেই সংসদে হামলার ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদ জানান বিরোধী সাংসদরা। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শায়ের ইস্তফা দাবি করছিলেন তাঁরা। বিক্ষোভ এতটাই প্রবল ছিল যে একের পর এক সাংসদদের বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। দুপুর ৩টের আগে লোকসভা থেকে বহিষ্কৃত হন কংগ্রেসের পাঁচ সাংসদ। এরা হলেন টিএন প্রতাপন, হিবি ইডেন, ডি কুরিয়াকোস, জ্যোতিমণি ও রামইয়া হরিদাস। এরপর ৩টে পর্যন্ত সভা মুলতুবি করে দেওয়া হয়।
ফের অধিবেশন শুরু হতেই বিশৃঙ্খলার জেরে কংগ্রেসের চার সাংসদ বিকে শ্রীকান্ত, বেনি বেহনান, মহ জাভেদ, মানিকম টেগোর ও সিপিএমের এস ভেঙ্কটেশন ও পি আর নটরাজন, সিপিআই-এর কে সুব্রহ্মায়ন, ডিএমকে-এর কে কানিমোঝি ও আরএসআর পার্থিবান সহ মোট ৯ সাংসদকে বহিষ্কার করা হয়। সবমিলিয়ে ১৫ জন বহিষ্কৃত হন। এদের মধ্যে ১৪ জন লোকসভা, ও ১ জন রাজ্যসভার সাংসদ। এই মুহূর্তে সমস্ত বিরোধী দলের সাংসদরা ওয়েলের মধ্যেই ধরনায় বসেছেন। তবে বহিস্কার হওয়া পার্থিবান আদৌ সভায় উপস্থিত ছিলেন না। ডিএমকে সূত্রে জানা গিয়েছে তিনি এই মুহূর্তে চেন্নাইতে রয়েছেন৷