বালুরঘাট: শীতের প্রকোপে স্কুলগুলোতে পড়ুয়ার সংখ্যা নেমেছে অর্ধেকেরও নীচে। বালুরঘাটের একাধিক স্কুলে ৬০ শতাংশ থেকে ৭৫ শতাংশ পড়ুয়ার অনুপস্থিতি চলছে। বিশেষ করে যেসব স্কুলে আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া পরিবারের পড়ুয়ারা পড়েন। সেই স্কুলগুলোর পড়ুয়ার উপস্থিতির সংখ্যা অনেকটাই কম। অভিভাবকরা স্কুল থেকে সন্তানদের ছুটি নিচ্ছেন বলে প্রধান শিক্ষকরা জানাচ্ছেন।
বালুরঘাট শহর ও পার্শ্ববর্তী এলাকা এখন চরমভাবাপন্ন পরিবেশের শিকার হয়ে পড়েছে। কারণ গ্রীষ্মকালে প্রচন্ড তাপপ্রবাহে অতিষ্ঠ হয়ে ওঠে জনজীবন। ঠিক তেমনি শীতের শুরু থেকেই শৈত্যপ্রবাহে হাড় কাঁপছে সকলের। কিন্তু এরমধ্যেই স্কুলে যেতে হচ্ছে পড়ুয়াদের। বালুরঘাটে তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নীচে নেমে যাচ্ছে। যেসব স্কুলে তুলনামূলক আর্থিক অনটনের সঙ্গে লড়াই করে পড়ুয়ারা যায়। তাদের ক্ষেত্রে এই ঠান্ডার প্রকোপ উপেক্ষা করে স্কুল যাওয়া অসাধ্য সাধন হয়ে দাঁড়িয়েছে। অনেক অভিভাবক স্কুল চলাকালীন এসে সন্তানকে ঠান্ডার হাত থেকে বাঁচাতে ছুটি নিয়ে বাড়ি ফিরছেন। ঠান্ডায় সেই পড়ুয়াদের কষ্টের কথা স্বীকার করেছেন প্রধান শিক্ষকরাও। পড়ুয়াদের ছুটির কোনও নির্দেশিকা না থাকায় নিরুপায় স্কুল কর্তৃপক্ষ। একই সুর শোনা গিয়েছে জেলা স্কুল পরিদর্শক মাধ্যমিকের গলাতেও।
বালুরঘাটের খিদিরপুর হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক জয়ন্ত ভট্টাচার্য বলেন, ‘আমাদের স্কুল একটু নিরিবিলি জায়গায় ও নদীর ধারে অবস্থিত। তাই ঠান্ডা এখানে বেশি। ঠান্ডায় পড়ুয়ারা আসতে পারছে না। অনেক অভিভাবক স্কুল চলাকালীন পড়ুয়াদের ছুটি দেওয়ার অনুরোধ করছেন।‘
নালন্দা বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষক সৌমিত দাসেরও এক মত। তাঁর কথায়, ‘স্কুলে তো তেমন শ্রেণিকক্ষ গরম রাখার ব্যবস্থা নেই। দরজা-জানলা খুলে রাখতে হয়। অনেক পড়ুয়ার পর্যাপ্ত শীতবস্ত্র নেই, তাই আসতেও পারছে না।’
জেলা স্কুল পরিদর্শক মাধ্যমিক নিতাই চন্দ্র দাস বলেন, ‘ঠান্ডার কারণে স্কুলে পড়ুয়ার সংখ্যা একটু কম থাকেই। স্কুল ছুটির কোনও সরকারি নির্দেশিকা নেই।’