মুর্শিদাবাদ: পুলিশি হেপাজতে থাকাকালীন মৃত্যু হয়েছে মুর্শিদাবাদের নবগ্রাম থানার সিঙ্গার গ্রামের এক যুবকের। এই ঘটনার পর মুর্শিদাবাদের নবগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি অমিত ভক্তকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুক্রবার রাতে উত্তেজনা ছড়িয়েছে স্থানীয় এলাকায়। দফায় দফায় গ্রামবাসীরা পুলিশের একাধিক শীর্ষ আধিকারিকদের ঘিরে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
জানা গিয়েছে, গত শুক্রবার সিঙ্গার গ্রামের বাসিন্দা প্রভাত ঘোষের বাড়ি থেকে প্রায় ২২ ভরি সোনার গয়না এবং ২ লক্ষ টাকা চুরি হয়। ঘটনায় গোবিন্দ ঘোষ সহ কয়েকজন ব্যক্তির নামে এফআইআর দায়ের করা হয় নবগ্রাম থানায়। গত বুধবার নবগ্রাম থানার পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য গোবিন্দকে থানায় নিয়ে আসে। দুদিন পুলিশি হেপাজতে থাকলেও আদালতে পেশ করা হয়নি তাঁকে। এরপর শুক্রবার রাতে গোবিন্দর পরিবারকে তাঁর মৃত্যুর খবর জানানো হয়। গোবিন্দর বাবার অভিযোগ, পুলিশ তাঁর ছেলেকে পিটিয়ে মেরে ফেলেছে। যেদিন চুরির ঘটনা ঘটে আমার ছেলে নবগ্রাম মিলিটারি ক্যাম্পে কাজ করছিল। তার নথিও আমরা পুলিশকে দিয়েছি। ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই নবগ্রাম থানার সামনে বিক্ষোভ দেখায় এলাকাবাসী। পুলিশের তরফে লাঠিচার্জ করা হয়। এমনকি শনিবার সকালে থানা ঘেরাও করতে গেলেও বাধা দেয় পুলিশ।
মুর্শিদাবাদের বিজেপি বিধায়ক গৌরীশঙ্কর ঘোষ বলেন, ‘গোটা ঘটনার সিবিআই তদন্ত দাবি করছি এবং থানার যে সমস্ত অফিসার এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি। সন্দেহের বশে পুলিশ গোবিন্দ ঘোষকে থানায় তুলে নিয়ে গিয়ে পিটিয়ে খুন করেছে।’ গোবিন্দর মৃত্যুর পর থেকেই উত্তপ্ত হয়ে রয়েছে নবগ্রাম থানা। মুর্শিদাবাদের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুবিমল পাল বলেন, ‘গোবিন্দ ঘোষের মৃত্যুর ঘটনার তদন্ত ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে। ওই ব্যক্তির মৃত্যুতে কোনও অফিসারের গাফিলতি থাকলে তাঁর বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নবগ্রাম থানার ওসিকে সাসপেনশনে পাঠানো হয়েছে।’