হরিশ্চন্দ্রপুরঃ বিয়ের মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে পরিচারিকার সঙ্গে সহবাসের অভিযোগ উঠল এক অবসরপ্রাপ্ত সরকারী কর্মীর বিরুদ্ধে। এমনকি মহিলাকে জোর করে গর্ভপাত করানোর অভিযোগও উঠেছে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত ব্যক্তি বিয়ের প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করায় নির্যাতিতা মহিলা অভিযোগ দায়ের করেছেন হরিশ্চন্দ্রপুর থানায়। অভিযুক্ত পলাতক।
জানা গিয়েছে, হরিশ্চন্দ্রপুর-১ নং ব্লকের হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিতোল গ্রামের বাসিন্দা শেখ তৈমুর রহমান(৮১)। তিনি অবসর প্রাপ্ত এক সরকারি কর্মচারী। তিনি গ্রামসেবক নামে পরিচিত। তার বাড়িতেই পরিচারিকার কাজ করতেন তিন সন্তানের মা এক মহিলা। মহিলার স্বামী প্রায় দুই বছর ধরে ভিন রাজ্যে কর্মরত। অভাবের সংসার। দুই মেয়ে ও এক ছেলেকে নিয়ে তৈমুর রহমানের বাড়িতে পরিচারিকার কাজ করে কোনোরকমে দিন গুজরান করতেন ওই মহিলা। অভিযোগ, দারিদ্রতার সুযোগকে হাতিয়ার করে বিয়ের মিথ্যা প্রতিশ্রুতি ও টাকার প্রলোভন দেখিয়ে ওই মহিলার সঙ্গে একাধিকবার যৌন সম্পর্ক স্থাপন করে তৈমুর। বর্তমানে তিনি পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। সেই কারনে তিনি তৈমুর কে বিয়ের জন্য চাপ দিচ্ছিলেন। কিন্তু সে এখন বিয়ে করতে অস্বীকার করছে। এমনকি তৈমুরের পরিবারের লোকেরা তাকে হুমকিও দিচ্ছে বলে অভিযোগ।
নির্যাতিতার অভিযোগ, পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বার কথা জানতে পেরে তৈমুরের ছেলে ও পুত্রবধূ জোর করে ডাক্তারের কাছে গর্ভপাত করাতে নিয়ে যায়। গর্ভপাত করাতে অক্ষম হলে তিন দিন ধরে তাকে লুকিয়ে রাখে। এবং এই বিষয়ে কারো কাছে মুখ খুললে প্রাণনাশেরও হুমকি দেয় অভিযুক্তের পরিবারের লোকেরা। নিজের অধিকার আদায়ের পাশাপাশি অভিযুক্তের শাস্তির দাবিতে হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন নির্যাতিতা মহিলা। অভিযোগ দায়েরের পর থেকেই পলাতক শেখ তৈমুর রহমান। এই অভিযোগ প্রসঙ্গে কোনও মন্তব্যই করেননি অভিযুক্তের পরিবার। হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে। শুক্রবার চাঁচল মহকুমা আদালতে বিচারকের কাছে নির্যাতিতার জবানবন্দী হয়েছে।