বালুরঘাট: রাজ্যের অন্যান্য জেলার পাশাপাশি দক্ষিণ দিনাজপুর জেলাতেও শুরু হয়েছে সরকারিভাবে ধান কেনা। জেলার ৮টি ব্লকেই শুরু হয়েছে ধান কেনার প্রক্রিয়া। গত ১ তারিখ থেকে ধান কেনা শুরু হলেও এখনও বিভিন্ন কিষাণ মান্ডি একরকম ফাঁকাই রয়েছে। কোথাও কৃষকরা নাম নথিভুক্ত করতে গেলে পরেও সার্ভার সমস্যার কারণে তাঁদের খালি হাতে ফিরে আসতে হয়েছে। পাশাপাশি এখনও আমন ধান সেভাবে ওঠেনি। যার ফলে বিভিন্ন কিষাণ মান্ডিগুলি একরকম ফাঁকা রয়েছে।
সরকার নির্ধারিত মূল্যে ধান ক্রয় করার জন্য প্রত্যেক বছর জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কৃষকদের কাছ থেকে ধান কেনা হয়। মূলত জেলার আটটি কিষাণ মান্ডিতে এই ধান কেনা হয়। এর পাশাপাশি বিভিন্ন সংস্থার পক্ষ থেকেও ধান ক্রয় করা হয়। এবারে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় প্রায় ১ লক্ষ ২৭ হাজার মেট্রিকটন ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রা রেখেছে জেলা প্রশাসন। গত ১ তারিখ থেকে জেলাজুড়ে ধান কেনা শুরু করেছে জেলা প্রশাসন। মোট ১০২টি সেন্টার থেকে ধান সংগ্রহ করা হবে। ইতিমধ্যে যেসব কৃষকদের নাম রেজিস্ট্রার রয়েছে তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে। আবার যারা নতুন তারা নাম নথিভুক্ত করণ পক্রিয়া করছে। এছাড়াও জেলার বিভিন্ন সমবায় সমিতি ও স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মাধ্যমে ধান কেনা হয়। ইতিমধ্যে জেলার চালকল মালিকদের সঙ্গে জেলা প্রশাসনের বৈঠক হয়েছে। জেলাজুড়ে প্রায় ৫০ হাজার কৃষকের কাছ থেকে ধান ক্রয় করা হবে। একেকজন কৃষকের কাছে সর্বোচ্চ ১০ কুইন্টাল ধান কেনা হবে। এক কুইন্টাল ধানের সরকারি সহায়ক মুল্য রয়েছে ১৯৬০ টাকা। এদিকে বালুরঘাট কিষাণ মান্ডি একরকম ফাঁকা প্রথম দুই তিনদিনে। তেমন কোনও কৃষক কিষাণ মান্ডিতে আসেননি বললেই চলে।
এবিষয়ে কিষাণ মান্ডিতে আসা কৃষক যোগেশ পাহান বলেন, ‘ধান বিক্রি করার জন্য কিষাণ মান্ডিতে নাম নথিভুক্ত করার ও কোনও ভুল ত্রুটি আছে নাকি তা দেখার জন্য এসেছিলাম। এসে দেখি সার্ভার খারাপ। যার ফলে নাম নথিভুক্ত বা অন্য কোনও কাজ করতে পারিনি। অনেকে আবার নবিকরণ করার জন্য এসেছিল তারাও এসে ঘুরে গেছে।‘
অন্যদিকে, এবিষয়ে জেলাশাসক বিজিন কৃষ্ণা বলেন, ‘এবার জেলায় ১ লক্ষ ২৭ হাজার মেট্রিকটন ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। জেলায় মোট ১০২টি কেন্দ্র থেকে ধান কেনা হবে। এরমধ্যে খাদ্য দপ্তর সরাসরি ১৬টি কেন্দ্রে ধান ক্রয় করবে। বাকিগুলি সমবায় সমিতি ও স্বনির্ভর গোষ্ঠী রয়েছে। ইতিমধ্যে ধান কেনা শুরু হয়েছে। বিভিন্ন কিষাণ মান্ডিতে কৃষকরা আসছে নাম নথিভুক্ত করছেন আবার কেউ কার্ড নবিকরণ করছেন। কোথাও সার্ভার খারাপ থাকা বা ইন্টারনেট সংযোগের সমস্যার বিষয় সামনে এসেছে। তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি কোথাও কোনও কৃষকের ধান বিক্রয়ের ক্ষেত্রে সমস্যা হলে তা দ্রুত মিটিয়ে ফেলা হবে।‘