রতুয়া: আশঙ্কাই সত্যি হল। রতুয়া-১ ব্লকের মহানন্দটোলা অঞ্চলের কান্তটোলা গ্রাম গিলতে শুরু করল গঙ্গা। মঙ্গলবার দুপুর থেকে বুধবার সকাল পর্যন্ত নদীতে তলিয়ে গিয়েছে প্রায় ৩০-৩৫টি বাড়ি। এমনটাই দাবি করেছেন গ্রামবাসীরা। এদিন পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে এলাকায় যান জেলা পরিষদের সভাধিপতি লিপিকা বর্মন ঘোষ, দুই বিধায়ক সমর মুখোপাধ্যায়, আবদুর রহিম বকসি সহ অন্যান্যরা। ক্ষিপ্ত গ্রামবাসীরা তাঁদের ঘিরে বিক্ষোভ দেখান। ক্ষতিগ্রস্তদের দাবি, তাঁদের পুনর্বাসনের জায়গার ব্যবস্থা করতে হবে। অন্যদিকে, এনিয়ে জেলাশাসকের সঙ্গে আলোচনা করা হবে বলে জানিয়েছেন জনপ্রতিনিধিরা। তবে ইতিমধ্যে এলাকায় ভাঙন রোধের অস্থায়ী কাজ শুরু করেছে সেচ দপ্তর। বালির বস্তা নদীতে ফেলার কাজ চলছে।
মঙ্গলবার দুপুর থেকেই কান্তটোলা গ্রামে শুরু হয়েছে গঙ্গা ভাঙন। একের পর এক পাকা বাড়ি নদীতে ধসে পড়েছে। গ্রামবাসীদের আশঙ্কা, আর কয়েকদিনের মধ্যে গোটা গ্রামটাই গঙ্গায় নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে। স্থানীয় বাসিন্দা হরিশচন্দ্র মণ্ডল বলেন, ‘বিডিওর কাছে পুনর্বাসনের আর্জি জানিয়েছিলাম। তিনি আমাদের আবেদনে কোনও গুরুত্বই দেননি। আমরা কি এদেশের মানুষ নই? আমাদের শুধু একটু জায়গা দরকার।‘
গ্রামবাসীদের উদ্দেশ্যে মালতীপুরের বিধায়ক তথা তৃণমূলের জেলা সভাপতি আবদুর রহিম বকসি বলেন, ‘গঙ্গা ভাঙনে যাঁরা গৃহহীন হয়েছেন, আমরা তাঁদের পুনর্বাসনের চেষ্টা করছি। এনিয়ে আজই জেলাশাসকের সঙ্গে আলোচনা করা হবে। কিন্তু এটা সমস্যার সমাধান নয়। গঙ্গার ভাঙন পুরোপুরি রোধ করতে না পারলে মালদা জেলায় বিপর্যয় নেমে আসা সময়ের অপেক্ষা। আমার বাড়ি বাহারাল। পাঁচ বছরের মধ্যে আমার বাড়িও নদীতে চলে যাবে। এই সমস্যার সমাধান একমাত্র স্থায়ী ভাঙন রোধ। তার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে টাকা আনতেই হবে।‘ এলাকার বিধায়ক তথা জেলা তৃণমূলের জেলা চেয়ারম্যান সমর মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘গঙ্গার ভাঙনে বিধ্বস্ত কান্তটোলার মানুষদের পুনর্বাসনের জায়গা খোঁজা হচ্ছে। তাঁদের আজ খিচুড়ির ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে এসব সমস্যার সমাধান নয়। ভাঙন রোধের স্থায়ী সমাধানের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারকে পদক্ষেপ নিতে হবে।’