চাঁচল: লিংকম্যানকে জেরা করেই উঠে এসেছিল তথ্য। উঠে এসেছিল বিহারের (Bihar) কুখ্যাত ডাকাত লালু সাহানির গ্যাংয়ের (Lalu Sahani Gang) কথা। ডাকাতরা যে ঝাড়খণ্ডে গা ঢাকা দিয়েছে সেটাও জানতে পারে পুলিশ। কয়েকদিন ধরে ডাকাতদের ডেরার আশপাশে ছদ্মবেশে গিয়ে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করেন বিশেষ তদন্তকারী দলের প্রতিনিধিরা। তারপর স্থানীয় পুলিশের সহযোগিতায় বাজিমাত। বড়দিনের সন্ধ্যায় চাঁচলের নামকরা সোনার দোকানে ভয়াবহ ডাকাতির ঘটনায় (Chanchal Robbery Case) গ্রেপ্তার (Arrest) দুষ্কৃতী দলের অন্যতম সদস্য।
ধৃতের নাম দীপক কুমার দাস (২২)। বাড়ি ঝাড়খণ্ডের (Jharkhand) সাহেবগঞ্জ জেলার জিরওয়াবাড়ি থানার বড়লোহন্ডা এলাকায়। বৃহস্পতিবার রাতে জেলা পুলিশের বিশেষ তদন্তকারী দল স্থানীয় জিরওয়াবাড়ি থানার সহযোগিতায় দীপককে লোহন্ডা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে। শুক্রবার রাতে ধৃতকে ট্রানজিট রিমান্ডে চাঁচল থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। শনিবার ১৪ দিনের পুলিশ হেপাজতের আবেদন জানিয়ে চাঁচল মহকুমা আদালতে পেশ করা হয়।
প্রাথমিক জেরায় দীপক ডাকাতির ঘটনায় যুক্ত থাকার কথা স্বীকার করে নিয়েছে। ওইদিন যে পাঁচজনের ডাকাতদল সোনার দোকানে ঢুকেছিল তার মধ্যে একজন ছিল দীপক। সিসিটিভি ফুটেজে তাকে বন্দুক হাতে দেখা গিয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। এই ডাকাত দলের সর্দার লালু সাহানির শ্যালক হল দীপক।
জেলা পুলিশ সুপার প্রদীপ কুমার যাদব বলেন, ‘এই দীপক ঝাড়খণ্ড পুলিশেরও খাতায় মোস্ট ওয়ান্টেড ক্রিমিনাল। আমরা আশা করছি বাকিদেরও অতি দ্রুত গ্রেপ্তার করতে পারব।’