উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ শুক্রবার সকালে সন্দেশখালিতে(Sandeshkhali) তদন্তে গিয়ে তৃণমূল নেতা শাহজাহান শেখের(Shahjahan Seikh) অনুগামীদের হাতে আক্রান্ত হন তিন ইডি আধিকারিক। তাঁদের বেধড়ক মারধর করা হয় হয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনা নিয়ে মুখ খুলেছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়(Justice Abhijit Ganguly)। শুক্রবার ধারাবাহিকভাবে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির সমালোচনা করেছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গে সাংবিধানিক ব্যবস্থা ভেঙে পড়া নিয়ে কেন কিছু বলছেন না রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। এই অসভ্যতা আগে দেখিনি’।
বিচারপতির এদিনের মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেছেন আইনজীবী তথা কংগ্রেস নেতা অরুণাভ ঘোষ(Arunava Ghosh) এবং তৃণমূলের সাংসদ ও আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়(Kalyan Banerjee)। আইনজীবী অরুণাভ ঘোষ এদিন বলেন, “বিচারপতিদের অনেক সংযত হয়ে চলতে হয়। ওঁর আচরণ বিচারপতি সুলভ নয়। কাকে ধরে উনি ৫৬ বছর বয়সে জজ হয়েছেন তা আমি জানি। ওঁর মতো জজ কলকাতা হাইকোর্টে আছেন এটাই আমাদের দুর্ভাগ্য। ওঁর জন্য বিচারপতির চেয়ারের অমর্যাদা হচ্ছে।”
বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের উদ্দেশে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, “শুক্রবার বিচারপতির সামনে কি সন্দেশখালির বিষয় ছিল? ছিল না তো! তাহলে উনি আগ বাড়িয়ে কেন সন্দেশখালি নিয়ে সাংবিধানিক ব্যবস্থা ভেঙে পড়া, রাজ্যপাল, ইত্যাদি বললেন? তার মানে উনি নিজেই সংবিধানের শর্ত ভাঙছেন। আদালতের গরিমা নষ্ট করছেন। ওঁর জন্য কলকাতা হাইকোর্টের বাকি বিচারপতিদেরও অসম্মান হচ্ছে। তাই বলছি উনি ইস্তফা দিন। তার পর রাজনীতিতে যোগ দিন।”
এখানেই শেষ নয়, বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের উদ্দেশে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় আরও বলেন, “আপনি তো সিপিএমের লোক ছিলেন। মনে নেই ৩৪ বছর ধরে কী নোংরামি করেছে সিপিএম! এখন সিপিএম নেই, তাই আপনি বিজেপির সঙ্গে আছেন। জয়েন করুন পার্টিতে।”