নাগরাকাটা: জলপাইগুড়ি জেলায় সার্বিক জোট না হলেও যে যেখানে শক্তিশালী তাঁকে সেখানে জেতানোর অলিখিত বোঝাপড়া হয়েছে বাম কংগ্রেসের মধ্যে। জেলায় বিভিন্ন আসনে আলাদাভাবে প্রার্থী দিয়েছে দুই দল। তা সত্ত্বেও যেখানে যে শক্তিশালী তাঁকেই ভোট দেওয়ার নীচুতলার পরিকল্পনা এখন চূড়ান্ত হয়ে গেছে জেলা জুড়ে। যাকে বলা হচ্ছে শেষ মুহুর্তের জোট। নয়া ফর্মুলার মূল প্রতিপাদ্য-বিজেপি ও তৃণমূলকে পরাস্ত করো। এই কৌশল অস্বীকার করছেন না সিপিএম বা কংগ্রেস কোন দলেরই শীর্ষ নেতারা।
নাগরাকাটার সুলকাপাড়ার ১৬২ নম্বর গ্রাম সংসদের আসনে শুক্রবার সন্ধ্যায় বাম-কংগ্রেসের জোট প্রার্থী সিপিএমের হয়ে যৌথ প্রচার করলেন দুই শিবিরের নেতারা। সেখানেই সিপিএমের জলপাইগুড়ি জেলা কমিটির সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য রামলাল মুর্মু বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন তাড়াহুড়ো করে পঞ্চায়েত ভোট ঘোষনা করে। সেকারণে মনোনয়ন পত্র পেশ করার সময় জোট নিয়ে আলোচনার সময় হাতে ছিল না। বহু স্থানেই প্রার্থীরা আলাদাভাবে দাঁড়িয়ে পড়ে। তৃণমূল ও বিজেপিকে পরাস্ত করার জন্য এখন এখন যেটা হচ্ছে তা নিজেদের মধ্যে একধরনের সমঝোতা। ’ জেলা কংগ্রেসের সভাপতি পিনাকী সেনগুপ্তর কথায়, যার যেখানে জেতার সম্ভাবনা বেশী তাঁকেই ভোট দেওয়ার নীতি গ্রহন করা হয়েছে। কেন্দ্র ও রাজ্যের শাসকদলের লুট ও বিভেদের রাজনীতি রুখতে শুধু দুই দলেরই নয়। মানুষের জোট তৈরি হয়েছে।
জলপাইগুড়ি জেলার ৮০টি গ্রাম পঞ্চায়েতে এবার কংগ্রেস প্রার্থী দিয়েছে ৩৬৮ টি আসনে। পঞ্চায়েত সমিতিতে তাঁদের প্রার্থীর সংখ্যা ৫২। অন্যদিকে জেলা পরিষদে রয়েছেন ১৯ জন। তিনটি স্তর মিলিয়ে সিপিএমের প্রার্থী সংখ্যা অবশ্য অনেক বেশী। তবে যেখানে কংগ্রেসের প্রার্থী রয়েছে খাতায় কলমে সেখানে লড়াই ওই দু দলের মধ্যেও। এটাকে একমুখী করে তুলতেই বাম-কংগ্রেসের এমন সমঝোতা।