দিনহাটা: প্রায় ছয় মাসেরও বেশি সময় ধরে বিকল হয়ে পড়ে রয়েছে দিনহাটা মহকুমা হাসপাতালের (Dinhata Hospital) প্রেশার সুইং অ্যাডজর্পশন (পিএসএ) প্ল্যান্ট। ইঞ্জিনিয়াররা প্রয়োজনীয় এস্টিমেট করলেও রাজ্যের তরফে বরাদ্দ না মেলায় আজও সারাই হয়নি পিএসএ প্ল্যান্ট।
স্বাভাবিকভাবেই বিরোধীরা প্রশ্ন তুলছেন যে হাসপাতালের রোগীকল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান মন্ত্রী উদয়ন গুহ (Udayan Guha) সেখানে বরাদ্দের অভাবে কীভাবে আটকে রয়েছে হাসপাতালের গুরুত্বপূর্ণ অক্সিজেন প্ল্যান্ট (Oxygen Plant) সারাইয়ের কাজ। এদিকে, দীর্ঘদিন থেকে প্ল্যান্ট বিকল হয়ে পড়ে থাকায় ৩০০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালের রোগীদের অক্সিজেন সরবরাহে ভরসা জাম্বো অক্সিজেন সিলিন্ডার। তবে সিলিন্ডার সরবরাহ বিঘ্নিত হলে সেক্ষেত্রে হাসপাতালের রোগীদের বিপাকে পড়তে হতে পারে বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মনে করছে।
করোনাকালে করোনা আক্রান্ত রোগীদের পাশাপাশি সাধারণ রোগীদের অক্সিজেন সরবরাহে তৈরি করা হয় প্রেশার সুইং অ্যাডজর্পশন (পিএসএ) প্ল্যান্ট। এই প্ল্যান্ট থেকেই পাইপের মাধ্যমেই ওপিডি, এসএনসিইউ, এইচডিইউ, পিকুর রোগীদের অক্সিজেন সরবরাহ করা হয় এবং বিকল্প হিসেবে রাখা হত জাম্বো সিলিন্ডারকে।
গত ছয় মাসেরও বেশি সময় থেকে প্ল্যান্ট কাজ না করায় রোগীদের অক্সিজেন সরবরাহের একমাত্র ভরসা এই সিলিন্ডার। আর তাই দীর্ঘদিন থেকে প্ল্যান্ট বিকল হওয়ায় ভাবনায় পড়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। যদিও হাসপাতাল সুপার রণজিৎ মণ্ডল বলেন, ‘বিকল্প হিসেবে আমরা জাম্বো সিলিন্ডারের মাধ্যমে অক্সিজেন সরবরাহ করছি। ইতিমধ্যে ইঞ্জিনিয়ারদের একটি দল সবকিছু দেখে গিয়ে আমাদের একটা এস্টিমেট দেন। সেইমতো আমরা তা স্বাস্থ্য ভবনে পাঠিয়ে দিয়েছি। বরাদ্দ পেলেই পুনরায় অক্সিজেন প্ল্যান্ট সারাই করা যেতে পারে।’
বিরোধীরা প্রশ্ন তুলছেন, এতদিন বাদেও গুরুত্বপূর্ণ এই ক্ষেত্রে বরাদ্দ কেন আটকে আছে? সিপিএমের জেলা কমিটির সদস্য শুভ্রালোক দাস বলেন, ‘রাজ্য স্বাস্থ্য নিয়ে যে কতটা উদাসীন তার একটি বড় উদাহরণ এই ঘটনা। তাছাড়া মন্ত্রী তার তহবিল থেকেই এটা বরাদ্দ করতে পারেন, তার জন্য রাজ্যের মুখাপেক্ষী হয়ে থাকার তো দরকার পড়ে না।’ হাসপাতাল রোগীকল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান তথা মন্ত্রী উদয়ন গুহ বলেন, ‘সদ্য বাজেট পেশ হয়েছে। খুব শীঘ্রই হয়তো বরাদ্দ অর্থ চলে আসবে।’