উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: ক্রমেই ফুরিয়ে আসছে অক্সিজেন। আর মাত্র কয়েক ঘণ্টার অক্সিজেনই মজুত রয়েছে আটলান্টিকে নিখোঁজ সাবমারিনে। প্রায় শেষ হয়ে গিয়েছে খাবার ও পানীয় জলও। টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখতে গিয়ে নিখোঁজ সাবমেরিনের অবস্থা অত্যন্ত সংকটজনক বলেই জানাচ্ছে উদ্ধারকারীরা। একাধিক দেশের নৌসেনা, যুদ্ধজাহাজ, রোবটকেও নামানো হয়েছে উদ্ধারকাজে। এমনকি উদ্ধারকাজের দ্বিতীয় দিনে আরও বেশ কয়েকটি জাহাজ নামানো হয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত সাবমেরিনের কোনও খোঁজ মেলেনি।
মঙ্গলবারই উদ্ধারকারীরা দাবি করেছিলেন, প্রতি আধঘণ্টা অন্তর নিখোঁজ সাবমেরিন থেকে আওয়াজ পাওয়া যাচ্ছে। সেই আওয়াজ অনুসরণ করে সাবমেরিনের কাছে পৌঁছোনোর চেষ্টা করলেও সফল হতে পারেননি উদ্ধারকারীরা। ৯৬ ঘণ্টার মতো অক্সিজেনের ভাণ্ডার নিয়ে জলের তলায় ডুব দিয়েছিল সাবমেরিনটি। এমন পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার সকাল নাগাদই অক্সিজেনের পরিমাণ একেবারে শেষ হয়ে যাবে বলে আশঙ্কা।
গত রবিবার আটলান্টিক মহাসাগরের তলদেশে থাকা টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখাতে পর্যটকদের নিয়ে রওনা দিয়ে নিখোঁজ হয় সাবমেরিন ‘টাইটান’। যাত্রার ১ ঘণ্টা ৪৫ মিনিট পর থেকে সাবমেরিনটির সঙ্গে ভূপৃষ্ঠের নিয়ন্ত্রণকক্ষের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ পর্যন্ত পৌঁছোতে এটির সাধারণত দুই ঘণ্টা সময় লাগে।