বালুরঘাট: হিমের পরশ গায়ে মেখে বালুরঘাটে জমে উঠল ছবি মেলা। যেখানে জেলা ও জেলার বাইরের শতাধিক শিল্পী অংশ নিয়েছেন। শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া এই ছবি মেলার দ্বিতীয় দিন ছিল শনিবার। যা চলবে রবিবার পর্যন্ত। যেখানে প্রদর্শিত হচ্ছে বিভিন্ন মাধ্যমে হাতে আঁকা ছবি ও ভাস্কর্য। প্রথম দিন এই ছবি মেলার উদ্বোধন করেন বালুরঘাটের বিশিষ্ট চিত্রশিল্পী মাধাই সরকার, তাপস রায় ও পুরসভার কাউন্সিলর পল্লব দাস সহ অন্যান্যরা।
রথতলা এলাকায় মন্মথ নাট্যচর্চা কেন্দ্রের আর্ট গ্যালারিতে চলছে বালুরঘাট ছবি মেলা ও প্রদর্শনী ২০২৩। আর্টিস্ট ফ্যামিলি শিল্পী সংস্থার তরফে এই ছবি মেলার আয়োজন করা হয়েছে। তিনদিনের ছবি মেলায় দুপুর ১২টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত প্রবেশ অবাধ রয়েছে। প্রদর্শনীর পাশাপাশি কোনও ছবি পছন্দ হলে দর্শকরা তা নির্ধারিত মূল্যে কিনে নিতে পারবেন। এমন সুবিধাও রাখা হয়েছে এই মেলায়। ছবির ক্ষেত্রে ১০০০ টাকা থেকে ৮ হাজার টাকা পর্যন্ত মূল্য রয়েছে। ভাস্কর্যের ক্ষেত্রে যা রয়েছে ১০০০০ টাকা পর্যন্ত। বিভিন্ন ক্যানভাসের উপরে চিত্রশিল্পীদের কেউ জল রং, তেল রং আবার কেউ পেনসিল স্কেচ বা অ্যাক্রিলিকের অনবদ্য ছবি এঁকেছেন। যেসব ছবি রীতিমতো তাক লাগিয়েছে বালুরঘাটবাসীকে। তাছাড়াও, দর্শকদের নজর কেড়েছে একাধিক ভাস্কর্য। পাশাপাশি, বাংলার লোক সংস্কৃতিও বিভিন্ন ছবি ও ভাস্কর্যের মাধ্যমে উঠে এসেছে এই মেলায়। ছবি প্রদর্শনীতে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বাইরের শিল্পীরাও অংশগ্রহণ করেছেন। কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, চুঁচুড়া, শিলিগুড়ি, কালিয়াগঞ্জ ও কলকাতার শিল্পীদের ছবি স্থান পেয়েছে এই ছবি মেলায়। জেলার মধ্যে তপন, বুনিয়াদপুর, হিলির ছবিও রয়েছে। মোট ১৫০টি ছবি ও দশটি ভাস্কর্য রয়েছে এখানে। তাছাড়াও আর্ট গ্যালারিতে ঢুকতেই রাস্তার উপরেই সাজানো রয়েছে একাধিক ছবি।
রঘুনাথপুরের শিল্পী সুজয় দে সরকার বলেন, ‘চারকোল, এক্রেলিক মাধ্যমে ছবি আঁকি বেশি। শুধু পেনসিলের ওপরও নির্ভর করে আঁকি। প্রায় নয় বছর ধরে ছবি এঁকে চলেছি। বালুরঘাট ছাড়াও শিলিগুড়ি ও কলকাতার ছবি মেলায় ছবি প্রদর্শিত হয়েছে।’
ভাস্কর্য শিল্পী ও মেলার আয়োজক ভাস্কর বসাক বলেন, ‘কোনও বিষয় ভিত্তিক নয়, ওপেন থিম রাখা হয়েছিল। ইনডোর ও স্ট্রিট এক্সিবিসশন রয়েছে। আমার মাটির, বিভিন্ন ধরনের কেমিক্যাল ও প্লাস্টার প্যারিসে ভাস্কর্য রয়েছে। ২৫ বছর ধরে এই কাজ করে চলেছি। এখন মাইথোলজি নিয়ে কাজ করছি। ছবি মেলায় শহরবাসীর ব্যাপক সাড়া পেয়েছি।’