উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ নেদারল্যান্ডসের পর এবার পাকিস্তান। ইডেনের মাটিতে বড় ব্যবধানে হারল বাংলাদেশ। মাঠে হাতে গোনা কিছু পাকিস্তানের সমর্থক। এদিন বাংলাদেশকে ৭ উইকেটে হারিয়ে দিলেন বাবর আজমরা। মুলতঃ পাকিস্তানের অনবদ্য বোলিংয়ের কাছে কার্যত আত্মসমর্পন করলেন বাংলাদেশের ব্যাটাররা। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে এদিনের বড় জয়ে নেট রানরেটও অনেকটা ভালো করে নিল পাকিস্তান।
টানা হারে ব্যাপক সমালোচনায় পড়েছিল পাকিস্তান ক্রিকেট টিম। আগের দিন আফগানিস্তানের জয়ে সেমিফাইনালের দরজা খুলে গিয়েছে অনেকের জন্যই। পাকিস্তানেরও ক্ষীণ সম্ভাবনা রয়েছে। এর জন্য বাকি তিন ম্যাচেই বড় জয় চাই। একটা ধাপ পেরোল পাকিস্তান। এদিন টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ। কারণ ইডেন গার্ডেন্সে পরে রান তাড়া করা সহজ কাজ নয়। বিশেষ করে বছরের এই সময়ে সন্ধ্যার পর থেকেই শিশির পরতে শুরু করে। এর সুবিধা পায় বোলাররা।
বাংলাদেশ প্রথমে ব্যাট করেও সুবিধা জায়গায় পৌঁছতে পারল না বাংলাদেশের ব্যাটাররা। নতুন বলে দাপট দেখালেন শাহিন আফ্রিদি। বাংলাদেশের হয়ে ভাল ব্যাট করেন ওপেনার লিটন দাস। মিডল অর্ডারে ভালো ব্যাট করেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াধ। অর্ধশতরান করেন তিনি। কিছুটা লড়াই করেন সাকিব আল হাসান। পুরো ৫০ ওভার ব্যাট করতে পারেনি বাংলাদেশ। ৪৫.১ ওভারে মাত্র ২০৪ রানেই অলআউট বাংলাদেশ। শাহিন আফ্রিদি ও মহম্মদ ওয়াসিম তিনটি করে উইকেট নেন।
২০৫ রানের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে ব্যাট করতে নামে পাকিস্তান। এদিন বাংলাদেশের বিপক্ষে শুরুটা ভালো করেন পাকিস্তানের ওপেনার ফখর জামান। দ্রুত ম্যাচ শেষ হয়ে যাওয়ায় শতরান হাতছাড়া করেন জামান। ৭৪ বলে ৮১ রানের অনবদ্য ইনিংস তাঁর ব্যাটে। আব্দুল্লা শফিক ৬৮ রানে ফেরেন। এদিন ব্যার্থ হন অধিনায়ক বাবর আজম। তিনি ব্যক্তিগত ৯ রান করে প্যাভিলিয়নে ফিরে৩ যান। মহম্মদ রিজওয়ান এবং ইফতিকার আহমেদের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে ৩২.৩ ওভারেই জয়ের লক্ষ্যে পাকিস্তান।
সাত ম্যাচে এটি পাকিস্তানের তৃতীয় জয়। সমান ম্যাচে বাংলাদেশের ষষ্ঠ হার। কাগজে-কলমে এখনও পাকিস্তানের সেমিফাইনালের সম্ভাবনা আছে। বাংলাদেশের আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায় হয়ে গেল এই ম্যাচ হেরে। তাদের বাকি দুটি ম্যাচ নিয়মরক্ষার হয়ে গেল।