রায়গঞ্জঃ সমবায় সমিতি গঠন করে দেশে প্রথম ডিম উৎপাদন শুরু করেছেন রায়গঞ্জের স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা। মহিলাদের রায়গঞ্জ ডিম উৎপাদক সমবায় সমিতি ডিম উৎপাদনের মাধ্যমে প্রতিমাসে আয়ের দিশা দেখাচ্ছে। এই প্রাথমিক সমবায় সমিতিটি ব্লক প্রাণী সম্পদ উন্নয়ন আধিকারিক এবং ভেটেনারি অফিসারের প্রযুক্তিগত নির্দেশনায় গঠিত হয়েছে।
গ্রামীণ মহিলাদের প্রাণী পালনের মাধ্যমে আর্থিক স্বাবলম্বী করার উদ্দেশ্যে প্রাণী সম্পদ বিকাশ দপ্তর থেকে সমগ্র রাজ্য জুড়ে স্বনির্ভর মহিলা দলের সদস্যদের মধ্যে হাঁস ও মুরগির ছানা বিতরন করা হয়। কিন্তু তা সত্ত্বেও ডিম উৎপাদনের মাধ্যমে মহিলাদের স্বনির্ভর করা সম্ভব হচ্ছিল না। সেইজন্য সমবায় পদ্ধতি অনুসরণ করে মহিলাদের নিয়ে গঠন করা হয় ডিম উৎপাদক সমবায় সমিতি।
সমবায় সমিতির সভানেত্রী ডলি সরকার বলেন, আমরা যারা ব্লক থেকে বিভিন্ন সময়ে হাঁস ও মুরগির ছানা পেয়েছিলাম সেগুলোকে বড় করেছি। সেই সমস্ত হাঁস ও মুরগির ডিম সংগ্রহ করে সমবায়ের মাধ্যমে বাজারজাত করা হচ্ছে। আপাতত ২৭৪ জন মহিলা যুক্ত হয়েছে। রায়গঞ্জ ব্লকের ১৪ টি অঞ্চলে সমিতির মহিলারা এই কাজ করছেন। যারা সমিতির সদস্য নয় তাদের বাড়ি থেকেও ডিম সংগ্রহ করা হচ্ছে। গৃহস্থদের ডিম প্রতি দাম দেওয়া হচ্ছে সাড়ে ৬ টাকা। আমরা বাজারে বিক্রি করছি সাড়ে ৮ টাকা। এই ধরনের সমিতি গঠিত হওয়ায় গ্রামীণ মহিলারা হাঁস ও মুরগি পালনে যথেষ্ট উৎসাহিত হচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট দপ্তরের আধিকারিক ডা: কৃষ্ণেন্দু মণ্ডল বলেন, এই রায়গঞ্জ ডিম উৎপাদক সমবায় সমিতি ভারতবর্ষে প্রথম। এটির উদ্দ্যেশ্য হল গ্রামীণ মহিলাদের মুক্তাঙ্গনে পালিত হাঁস – মুরগি উৎপাদিত ডিম বাজারজাত করে মহিলা দলের সদস্যদের আর্থিক অগ্রগতি যাতে তাদের পণ্যের যুক্তি সঙ্গত মূল্য পেতে পারে। গ্রামীণ ও দরিদ্র মহিলারা মুক্তাঙ্গনে হাঁস-মুরগি পালন করে চাষিদের স্থিতিশীল মাসিক আয় অর্জন করবে। আমাদের রাজ্যে ডিমের যে ঘাটতি রয়েছে, সেই ঘাটতি পূর্ণ করতেও এই পদ্ধতি কার্যকরী হয়ে উঠবে।