রায়গঞ্জ: আধারে আঁধার ঘুচল তিন পরিবারের। কেউ বা নয় বছর পর, আবার কেউ পাঁচ বছর পর ফিরে পেলেন তাঁদের সন্তানকে। ৯ বছর আগে বীরভূমের পাঁচরা গ্রাম থেকে হারিয়ে গিয়েছিল মূক ও বধির শুকতারা দাস। তখন তার বয়স ৭ বছর। শেষ পর্যন্ত শুকতারার ঠাঁই হয় রায়গঞ্জের সূর্যোদয় হোমে। সম্প্রতি মানবিক প্রকল্পে ভাতার জন্য তার আধার কার্ড করানোর উদ্যোগ নেন হোম কর্তৃপক্ষ। বায়োমেট্রিকের জন্য আঙুলের ছাপ দিতেই দেখা যায় আগেই আধার কার্ড হয়ে রয়েছে। এরপর আধার দপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানা যায় শুকতারার বাড়ি বীরভূমের পাঁচরা গ্রামে। তারপর স্থানীয় পঞ্চায়েত ও পুলিশের সহযোগীতায় বাড়ির লোকের সঙ্গে যোগাযোগ হয় হোম কর্তৃপক্ষের।
এদিন মা ও পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে নিজের বাড়িতে ফিরে যায় শুকতারা। মা কুরুনি দাস জানান, মেয়েকে পাওয়ার আশা ছেড়েই দিয়েছিলেন, কিন্তু এখন ফিরে পাওয়ায় খুবই ভাল লাগছে। হোমের আবাসিক শুকতারা দাসও দীর্ঘদিন পর মা সহ অন্যান্যদের দেখতে পেয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে।
অন্যদিকে, মালবাজারের ডামডিম চা বাগানের মেয়ে অপর্ণা সান্তাল এবং আজিম মিঁয়াও একই ভাবে তাদের মা-বাবাকে ফিরে পেয়েছে। বৃহস্পতিবার হোমে অপর্ণাকে নিতে আসেন তার মা লক্ষ্মী সান্তাল। ২০২০ সালে চা বাগান থেকে হারিয়ে যায় অপর্ণা। মেয়ের বয়স এখন ১৮ বছর। মা লক্ষ্মী সান্তাল জানিয়েছেন, প্রশাসনের তৎপরতায় মেয়েকে খুঁজে পেয়েছেন, এর থেকে আনন্দের কিছু হয় না। হোমের অধ্যক্ষ পার্থ সারথী দাস জানান, মানবিক প্রকল্পের জন্য ব্যাংক অ্যাকাউন্ট করতে হয়। এর জন্য আধার কার্ড তৈরি করতে গিয়েই সকলের পরিচয় সামনে এসে পরে। এভাবে হোম থেকে প্রায় ৩৩ টি পরিবার তাদের সন্তানকে ফিরে পেয়েছে।