নাগরাকাটা: বোনাস ইস্যুতে একযোগে বন্ধ হয়ে গেল জলপাইগুড়ির দুই চা বাগান। একই সংস্থার মালিকানাধীন মালবাজারের সাইলি ও নাগরাকাটার নয়া সাইলি বাগানে গত বৃহস্পতিবার রাতে কর্ম বিরতির নোটিশ জারি করা হয়। এদিন সকালে শ্রমিকরা কাজে গিয়ে বিষয়টি টের পান। এরপরেই ক্ষোভ আছড়ে পড়ে বাগান দুটিতে। শ্রম দপ্তরের গোচরে বিষয়টি আসার সঙ্গেই সঙ্গেই শনিবার দুই বাগানের মালিকপক্ষকে নিয়ে মালবাজারে সহকারী শ্রম কমিশনারের দপ্তরে আলাদা করে দুটি বৈঠকের ডাক দেওয়া হয়েছে।
সাইলি ও নয়া সাইলি দুটি চা বাগানই মালিকপক্ষের সংগঠন ইন্ডিয়ান টি প্ল্যান্টেশন অ্যাসোসিয়েশনের (আইটিপিএ) সদস্যভুক্ত। গত বৃহস্পতিবার রাতে জলপাইগুড়িতে আইটিপিএ-র কার্যালয়ে বোনাস চুক্তি স্বাক্ষরিত হলেও তা থেকে শেষ মূহুর্তে ওই দুই বাগান চুক্তি থেকে বেরিয়ে আসে বলে জানা গিয়েছে। এদিন সকাল থেকে কাজে গিয়েও সেখানকার কোনও পরিচালকদের শ্রমিকরা আর দেখতে পাননি। কর্মবিরতির নোটিশে সাইলির ক্ষেত্রে ১৬.৫ ও নয়া সাইলির ক্ষেত্রে ১৫.৫ শতাংশ হারের বোনাস ঘোষণা করার জন্য তাঁদের ওপর বলপূর্বক চাপ তৈরি করা হয় বলে সংশ্লিষ্ট পরিচালকরা দাবি করেছেন। যা তাঁদের সাধ্যের বাইরে এমনটা শ্রমিক প্রতিনিধিদের বোঝানো সত্ত্বেও কেউ কর্ণপাত করেনি। যেকারনে নিজেদের নিরাপত্তার কথা ভেবে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যদিও দুই বাগানের শ্রমিকরাই মালিকদের বক্তব্যকে জোরালো ভাষায় খন্ডন করেছেন। সহকারী শ্রম কমিশনার প্রণব কুমার দাস বলেন, ‘দুটি বাগানের শ্রমিক প্রতিনিধিরাই এদিন এসেছিলেন। বাগানের পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে পদক্ষেপ করা হচ্ছে।’