গয়েরকাটা: তৃণমূল কংগ্রেস যখন একুশে জুলাই শহিদ দিবস নিয়ে ব্যস্ত ঠিক সেই সময় হৃদয় বিদীর্ণ স্মৃতি কিছু পরিবারকে শোকাতুর করে তোলে। ১৩ বছর আগের ঘটনা। দিনটি ২০১০ সালের ২১ জুলাই। তখনও তৃণমূল ক্ষমতায় আসেনি। একুশে জুলাই উপলক্ষ্যে বেশ কয়েকজন কর্মী-সমর্থকের সঙ্গে কলকাতা যাওয়ার জন্য দলগাঁও স্টেশনের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলেন বানারহাট থানার দুরামারির তৃণমূল কর্মী কাশেদ আলি।পথে বীরপাড়ার কাছে দুর্ঘটনার কবলে পড়েন কাশেদ। প্রথমে তাঁকে বীরপাড়া রাজ্য সাধারণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে তাঁকে উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে রেফার করা হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মাত্র ৩৫ বছর বয়সে মৃত্যু হয় তাঁর। এরপর মৃতের পরিবারকে সান্ত্বনা দিতে তিন দিনের মধ্যে দুরামারি আসেন তৃণমূলের তৎকালীন দার্জিলিং জেলা সভাপতি গৌতম দেব। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের হাতে অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার জন্য তুলে দেন কুড়ি হাজার টাকা।
পরিবারের দাবি, ক্ষমতায় এলে স্থায়ী বা অস্থায়ী চাকরির আশ্বাস দিয়েছিলেন তৃণমূল নেতারা। অভিযোগ, ১৩ বছর কেটে গেলেও আজও পরিবারের কারও চাকরি বা আয়ের কোনও ব্যবস্থা করা হয়নি দলের তরফে। বর্তমানে মানুষের বাড়িতে দিনমজুরের কাজ করে সংসার চালাচ্ছেন কাশেদ আলির স্ত্রী গুলজান বেগম।
গুলজান বলেন, ‘সামান্য কিছু জমানো টাকা ও মানুষের সাহায্য নিয়ে মেয়ের বিয়ে দিয়েছি। মানুষের বাড়িতে কাজ করে কোনওরকমে সংসার চালাই। স্বামীর মৃত্যুর পর প্রথম দিকে অনেকে খোঁজ খবর নিলেও পরে আর কেউ খোঁজ নেয়নি। কেউ কথা রাখেনি। আমি চাই আমাদের খেয়ে পড়ে বেঁচে থাকার একটা ব্যবস্থা করে দিক দল।’ এবিষয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের জলপাইগুড়ি জেলা সভানেত্রী মহুয়া গোপ বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা ছিল না। আমি দ্রুত ওঁদের বাড়ি গিয়ে খোঁজ নিয়ে কিছু করার চেষ্টা করব।’