মাটিগাড়া: স্বপ্ন ছিল ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার। সেই কারণেই আইটিআইতে পড়াশোনা শেষ করে সিকিমে কাজে গিয়েছিলেন পাথরঘাটা গ্রাম পঞ্চায়েত বন্দ্রীজোতের বাসিন্দা শুভঙ্কর দাস। সিকিমের চুংথাং-এ তিস্তার জল মাপার কাজ করতেন তিনি। কিন্তু সেই স্বপ্নই যে বিপদ ডেকে আনবে, তা ঘুনাক্ষরেও ভাবতে পারেনি শুভঙ্কর বা তাঁর মা ভারতী দাস। সিকিমের হড়পা বানের খবর পাওয়ার থেকেই, ছেলের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে পরিবারের। বাধ্য হয়ে প্রধাননগর থানার দ্বারস্থ হয়েছেন ভারতী দেবী। কিন্তু হড়পা বানের তিনদিন পার হয়ে গেলেও এখনও কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি শুভঙ্করের।
জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাতে শুভঙ্কর ভারতী দেবীকে ফোনে তিস্তায় জল বেড়ে যাওয়ার কথা জানিয়েছিলেন। তবে তাতে তেমন গুরত্ব দেননি মা। এরপর বুধবার সকাল হতেই সিকিমের বন্যার খবর পান তিনি। তারপর থেকেই ছেলের কোনও হদিশও মেলেনি। শুক্রবার ভারতী দেবীর পাশে দাঁড়ালেন পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি ভোলা ঘোষ, পাথরঘাটা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান মহম্মদ সাহেব, উপপ্রধান অঞ্জলি টুডু সহ অন্যান্যরা। ভোলা ঘোষ বলেন, ‘সিকিম সরকারের সঙ্গে কথা চলছে। নিখোঁজদের খোঁজ করা হচ্ছে।‘