নীহাররঞ্জন ঘোষ,মাদারিহাট: গত দু’বছর আগে সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল এক তরুণ-তরুণীর। অভিযোগ, তরুণীকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে কয়েকবার সহবাস করেছে তরুণ। তরুণীর কথানুযায়ী, গতবছর তাঁদের রেজিস্ট্রি বিয়ে হয়। এরপর তাঁকে সামাজিকভাবে বিয়ে করে স্ত্রীর সম্মান দেওয়ার কথা তুললেই নানা অজুহাতে সেই দাবিকে প্রত্যাখ্যান করে তরুণ।
অশান্তি এড়াতে সামাজিকভাবে বিয়ে করে তরুণীকে স্ত্রীর সম্মান দিয়ে ঘরে তুলবে বলে প্রতিশ্রুতি দিলেও তা করেনি তরুণ। বিয়ের কথা বললেই শুধু নানারকম অজুহাত দেখাতে থাকে তরুণ। শেষপর্যন্ত বাধ্য হয়ে গত ৪ ফেব্রুয়ারি নিজের মা-বাবা ও পরিবারের সদস্যদের বিদায় জানিয়ে পাকাপাকিভাবে তরুণের বাড়িতে চলে এসেছেন ওই তরুণী। এদিকে খবর পেয়েই ওইদিন থেকেই উধাও তরুণ। সোমবার আটদিন পেরিয়ে গেলেও প্রেমিকের কোনও খোঁজখবর নেই। আর তরুণীও পণ করেছেন, স্ত্রীর সম্মান না পেলে তিনিও তরুণের বাড়ি ছাড়বেন না।
মেয়েটির কথায়, দু’বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক থাকলেও বিয়ের কথা বললেই নানারকম অজুহাত দেখাত তরুণ। এমনকি বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে কয়েকবার সহবাস করেছেন তাঁরা। গতবছর ১৫ মে ছেলেটি তাঁকে নিজের বাড়িতে নিয়ে গেলে তার দুই দাদা ও মা-বাবা তরুণীর উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন শুরু করেন। মেয়েটিকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে মারতে এলে প্রতিবেশীরা মেয়েটিকে রক্ষা করেন।এরপর মেয়েটি বাড়ি ফিরে গেলেও গতবছর ১৮ মে ফালাকাটা থানায় তরুণের বাড়ির পাঁচজনের নামে অভিযোগ দায়ের করেন। এরপর চাপে পড়ে গতবছর ২১ জুন তরুণের পরিবার তরুণীর সঙ্গে তার আইনি বিয়ে দেয় এবং প্রতিশ্রুতি দেয় জুলাই মাসের মধ্যে তাদের সামাজিক বিয়ে দেওয়া হবে। মেয়েটির বক্তব্য, এরপর থেকে নানারকম অজুহাতে পাঁচবার তারিখ পালটানো হলেও এবার তিনি স্ত্রীর সম্মান পেতে অনড়।
মেয়েটির দাদা বলেন, ‘আমরা গরিব। আর সেই সুযোগে আমার বোনের সঙ্গে এই ধরনের অত্যাচার করা হচ্ছে।’ যদিও তরুণের মা ও দাদার বক্তব্য, ‘আমরা বিয়েতে রাজি হলেও ছেলে বাড়িতে নেই। ছেলে না ফিরলে কীভাবে বিয়ে হবে। আর আমাদের বাড়িতেই তো রয়েছে, অসুবিধা কোথায়।’
যেদিন থেকে তরুণী এসেছে সেদিন থেকেই কেন হঠাৎ তরুণ বেপাত্তা, সে কোথায় আছে, ছেলের মা ও দাদার কাছে এইসব প্রশ্নের সদুত্তর নেই। যদিও প্রেমিকার অভিযোগ, পরিকল্পিতভাবেই ছেলেকে সরিয়ে রাখা হয়েছে।