হরিশ্চন্দ্রপুর: কেন্দ্রের উপর আর নির্ভরতা নয়। ১০০ দিনের কাজের বকেয়া টাকা এবার উপভোক্তাদের হাতে তুলে দেবে রাজ্য সরকার। ২১ লক্ষ জব কার্ড হোল্ডারের অ্যাকাউন্টে সরাসরি পৌঁছে যাবে এই টাকা। এমনটাই ঘোষণা করেছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। তারপরই তালিকা অনুযায়ী শুরু হয়েছে সার্ভের কাজ। আর সেই কাজ শুরু হতেই এবার ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ উঠল। যাঁরা প্রকৃত উপভোক্তা তাঁদের নাম তালিকায় না রেখে বিত্তশালীদের নাম ঢোকানো হচ্ছে বলে অভিযোগ।। নাম রয়েছে সরকারি কর্মচারীরও। এছাড়াও তালিকায় নাম উঠেছে কংগ্রেস এবং তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতিদের। মালদা (Malda) জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর ১ এর ভিঙ্গল গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত ঝিকোডাঙা গ্রামের ঘটনা। এই অভিযোগে মঙ্গলবার বিক্ষোভ দেখালেন প্রকৃত উপভোক্তারা। কংগ্রেস পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েতে এই ঘটনায় ব্যাপক শোরগোল পড়েছে। যদিও ব্লক প্রশাসনের দাবি, নতুন কোনও তালিকা তৈরি হয়নি। এফটিএ যাঁদের করা আছে তাঁরাই টাকা পাবে। তারই সার্ভে হচ্ছে।
জব কার্ড হোল্ডারদের অভিযোগ, তাঁরা মাটি কাটার কাজ করেছিলেন। কিন্তু সেই টাকা পাননি। যেহেতু টাকা বন্ধ রেখেছিল কেন্দ্র সরকার। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেন রাজ্যের তরফে সেই টাকা দেওয়া হবে। এরপরেই জব কার্ড হোল্ডারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে সার্ভে শুরু হয়েছে। কিন্তু উপভোক্তাদের অভিযোগ, যাঁরা কাজ করেছেন তাঁদের বাড়িতে এসে সার্ভে হচ্ছে না। তালিকাতেও তাঁদের নাম নেই। আর যাঁরা কাজ করেনননি এবং এলাকার বিত্তশালী তাঁদের নাম রয়েছে তালিকায়। তালিকায় নাম রয়েছে কংগ্রেসের অঞ্চল সভাপতি, তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি, এক সরকারি কর্মচারীরও। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, তাঁরা কাজ করে এতদিন টাকা পেলেন না। আর এখন টাকা দেওয়া হলেও টাকা তাঁরা পাচ্ছেন না।
এবিষয়ে হরিশ্চন্দ্রপুর ১ (Harishchandrapur) এর ব্লক সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক সৌমেন মণ্ডলের বক্তব্য, নতুন কোনও তালিকা বানানো হয়নি। যাঁদের এফটিএ করা ছিল তাঁদের নাম এসেছে। সেটা সঠিক কি না দেখার জন্যই সার্ভে হচ্ছে।