জ্যোতি সরকার, জলপাইগুড়ি: চা শিল্পে নয়া দিশা দেখাবে সৌরশক্তি। তাই সৌরশক্তি (Solar Energy) ব্যবহারের প্রসারে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার কলকাতার উইলিয়ামসন হলে সুইচ অন ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনায় চা বাগানে নব আয়নযোগ্য শক্তি ও সুরক্ষার ব্যবহার শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হল। অংশ নেন টি বোর্ড, ইন্ডিয়ান টি অ্যাসোসিয়েশন, টি অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়া, সিস্টা এবং জলপাইগুড়ি জেলার ক্ষুদ্র চা চাষির সমিতির প্রতিনিধিরা। সভায় সমস্ত বক্তাই সৌরশক্তি ব্যবহারে বাড়তি গুরুত্ব দেন। পাশাপাশি সভায় চা বাগানে অপ্রচলিত সৌরশক্তির ব্যবহারে জলপাইগুড়ি ও দার্জিলিং জেলাকে পাইলট প্রোজেক্ট (Pilot Project) হিসাবে গ্রহণ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, বর্তমানে এশিয়ার (Asia) মধ্যে সর্ববৃহৎ ডুয়ার্সের চ্যাংমারি, মাঝেরডাবরি, কুঞ্জবিহারী বটলিফ চা ফ্যাক্টরি সৌরশক্তি ব্যবহার করছে। বিশেষজ্ঞদের দাবি, সৌরশক্তির ব্যবহারে চা শিল্প যেমন আর্থিক মন্দা থেকে মুক্তি পাবে তেমনই চায়ের উৎপাদন বৃদ্ধি ও গুণগত মান উন্নত হবে। যার প্রভাব মিলবে রপ্তানি বাণিজ্যে ও অভ্যন্তরীণ বাজারে। ফলে, চা বাগানের মালিক-শ্রমিক সবাই উপকৃত হবেন।
পরিবেশবিদ স্বাতী ভোঁশলে বলেন, ‘সৌরশক্তি চা বাগানের ক্ষেত্রে পরিবেশবান্ধব। এই শক্তি শুধু চা উৎপাদনেই যে সহায়তা করবে তাই নয় উৎপাদন খরচ কমাতেও সহায়তা করবে।’ সর্বভারতীয় ক্ষুদ্র চা চাষি সমিতির সভাপতি বিজয়গোপাল চক্রবর্তী সোলার ট্র্যাকার কিট, সোলার স্প্রে মেশিন, সোলার জলসেচ মেশিনের ব্যবহারের জন্য টি বোর্ডের ভরতুকিতে গুরুত্ব দেন। টি বোর্ডের চা উন্নয়ন আধিকারিক সুন্দররাজনের কথায়, ‘চা শিল্পের বড় সমস্যা ঋতু পরিবর্তন। এবার সৌরশক্তির ব্যবহার এই সমস্যা থেকে মুক্তি দেবে।’ তিনি ক্ষুদ্র চা চাষিদের উন্নয়নে সৌরশক্তির ব্যবহারকে স্বাগত জানান। ইন্ডিয়ান টি অ্যাসোসিয়েশনের (Indian Tea Association) তরফে সন্দীপ ঘোষ জানান, ইতিমধ্যে অসম ও ডুয়ার্সের বহু চা বাগানে সৌরশক্তির ব্যবহার হচ্ছে। ফলে বাগান পরিচালন কর্তৃপক্ষ উপকৃত হচ্ছেন। জলপাইগুড়ি জেলা ক্ষুদ্র চা চাষি সমিতির সভাপতি রজত রায় কার্জি মনে করেন, ‘সৌরশক্তি দিয়ে চা পাতা শুকানোর উপর আরও গবেষণার (Research) প্রয়োজন।’