উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: শেষ মুহূর্তের অভিযান। চলছে কাউন্টডাউন। উত্তরকাশীতে অবশেষে শ্রমিকদের কাছে পৌঁছোলেন উদ্ধারকারীরা। ইঁদুরের মতো গর্ত খুঁড়ে সিল্কিয়ারা সুড়ঙ্গে আটক শ্রমিকদের কাছে পৌঁছে গিয়েছেন উদ্ধারকারী দল। যে পাইপের মাধ্যমে বেরিয়ে আসবেন শ্রমিকেরা, তা যথাযোগ্য জায়গায় রাখা হয়েছে। এবার শ্রমিকদের বের করে আনার জন্য শেষ মুহূর্তের কাজ চলছে। সুড়ঙ্গের ভেতরে তৈরি করা হয়েছে অস্থায়ী হাসপাতাল। বাইরে রয়েছেন চিকিৎসকদের একটি দল। প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর শ্রমিকদের পাঠানো হবে জেলা হাসপাতালে।
পাইপের ভিতর দিয়ে সুড়ঙ্গে পৌঁছে শ্রমিকদের কাছে পৌঁছোবেন জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সদস্যরা। তাঁদের সঙ্গে কথা বলে তাঁরা বোঝাবেন, কীভাবে পাইপ দিয়ে বাইরে বেরিয়ে আসতে হবে শ্রমিকদের। পাইপটি আড়াই ফুট চওড়া রাখা হয়েছে। প্রথমে মনে করা হয়েছিল, সুড়ঙ্গ থেকে হামাগুড়ি দিয়ে বেরোবেন শ্রমিকেরা। কিন্তু দীর্ঘ ১৭ দিন সুড়ঙ্গে আটকে থাকার পর সেই শারীরিক অবস্থায় নেই তাঁরা। তাই তাঁদের চাকা লাগানো ট্রলির মাধ্যমে পাইপ দিয়ে বের করে আনা হবে।
সম্প্রতি, উত্তরাখণ্ডের উত্তরকাশীতে নির্মীয়মাণ টানেলে দুর্ঘটনা ঘটে। টানেলটির নির্মাণকাজ চলছিল। বেশ কয়েকজন শ্রমিক সেখানে কাজ করছিলেন। সেইসময় আচমকাই সুড়ঙ্গের কাঠামো ভেঙে পড়ে। ধ্বংসস্তূপের নীচে আটকে পড়েন ৪১ জন শ্রমিক। তাঁদের মধ্যে বাংলার ৩ জন শ্রমিক রয়েছেন। এনডিআরএফ, এসডিআরএফ দল, পুলিশ ও প্রশাসনের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছান। শুরু হয় উদ্ধারকাজ। সেই থেকে উদ্ধারকাজ চলছিল। উৎকন্ঠায় দিন গুণছিলেন শ্রমিকদের পরিবার-পরিজন। টানা ১৭ দিন ধরে লড়াইয়ের পর অবশেষে শ্রমিকদের ওই সুড়ঙ্গ থেকে বের করে আনা সম্ভব হচ্ছে।