উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: জলপাইগুড়ি সহ উত্তরবঙ্গের ৩ জেলায় রবিবার রাতে বিধ্বংসী ঝড়ের পর রাতেই টুইট করে সমবেদনা জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দিয়েছিলেন পাশে থাকার আশ্বাসও। সেই প্রধানমন্ত্রীই ৩ দিন বাদে কোচবিহারে সভা করতে এসে একবারও ঝড়ের প্রসঙ্গই উত্থাপন করলেন না, যা নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। তৃণমূল একে সরাসরি অমানবিকতা বলে কটাক্ষ করেছে। তবে মোদি কিছু না বললেও বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার অবশ্য ঝড়ের প্রসঙ্গ তোলেন। তিনি বলেন, ‘জলপাইগুড়িতে ঝড়ে যাঁরা মারা গিয়েছেন, তাঁদের আত্মার শান্তি কামনা করছি। যে সমস্ত ভাইবোনেরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, তাঁদের পাশে আছে বিজেপি।’ সুকান্ত বললেও মোদির নীরবতা কিন্তু সকলেরই নজর কেড়েছে।
রবিবারের ঝড়ে জলপাইগুড়ি ও ময়নাগুড়ি মিলিয়ে ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। জখম হয়েছেন অন্তত ২০০ জন। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৫০০০ বাড়ি। ঘটনার রাতেই বিশেষ বিমানে চলে আসেন মুখ্যমন্ত্রী। পরদিন যান রাজ্যপাল ও বিরোধী দলনেতা। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশ্ন তুলেছিলেন, বালুরঘাটে থেকেও সুকান্ত মজুমদার কেন ঘটনাস্থলে দ্রুত পৌঁছোতে পারেননি। কিন্তু ফটো তোলার রাজনীতি তাঁরা করেন না বলে অভিষেককে তোপ দেগেছিলেন শুভেন্দু। কিন্তু বিধ্বস্ত এলাকায় না গেলেও প্রধানমন্ত্রী এদিন রাসমেলা মাঠের জনসভা থেকে একবারও ঝড়ের প্রসঙ্গ না তোলায় অস্বস্তিতে পড়েছেন বিজেপি নেতারাও।
এ প্রসঙ্গে তৃণমূল মুখপাত্র শান্তনু সেনের কটাক্ষ, ‘বাংলা রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার। ১০০ দিনের কাজের ক্ষেত্রে হোক বা প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের ক্ষেত্রে হোক। আমপানের সময়েও মোদি বাংলার প্রাপ্য টাকা দেননি।’ যেখানে তৃণমূল ঝড়ের সময় পাশে দাঁড়ানোকে ভোটের ইস্যু করছে সেখানে মোদির এই নীরবতা অবশ্যই তৃণমূলের হাতে বাড়তি অস্ত্র তুলে দিল।