শিলিগুড়ি: পুলিশ এখন নির্বাচনের কাজে ব্যস্ত। আর সেই সুযোগে শহরজুড়ে বাড়ছে চুরির ঘটনা। ফাঁকা বাড়িতে হানা থেকে শুরু করে, সাইকেল চুরি, রাতে জানলা খুলে মোবাইল ফোন চুরি এমনকি জুতো চুরির মতো ঘটনাও ঘটছে। নিউ জলপাইগুড়ি থেকে মাটিগাড়া, বাগডোগরা, প্রধাননগর, শিলিগুড়ি সব থানা এলাকাতেই কমবেশি চুরির ঘটনা ঘটছে। দুষ্কৃতীদের গারদে পুরতে তাই শহরের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ ভালো করে দেখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তদন্তকারীরা। যে এলাকাগুলিতে চুরির ঘটনা ঘটেছে, সেখানে পুলিশের সিসিটিভি ক্যামেরার পাশাপাশি এলাকার বাড়িগুলোতে লাগানো ক্যামেরার ফুটেজও দেখছেন পুলিশকর্মীরা।
গত ১৫ দিনে শিলিগুড়ি শহরের বিভিন্ন এলাকায় অন্তত ১৫টি চুরির ঘটনা ঘটেছে। কয়েকটি ঘটনায় চোর ধরা পড়েছে। শিলিগুড়ি পুলিশের ডেপুটি কমিশনার (সদর) তন্ময় সরকারের বক্তব্য, ‘নির্বাচন থাকলেও শহরের নিরাপত্তা দেওয়া আমাদের প্রাথমিক কাজ। তাই দিনে এবং রাতের পেট্রলিং ভ্যানগুলি বাড়ানো হচ্ছে। সব থানাকে সতর্ক করা হয়েছে।’
গত ২০ মার্চ একই রাতে শিলিগুড়ি শহরে একসঙ্গে আটটি বাড়িতে দুষ্কৃতী হানার ঘটনা ঘটেছিল। শুধু চুরি নয়, রাতভর তাণ্ডব চালিয়েছিল ওই দলের সদস্যরা। একইরকমভাবে শিবমন্দির এলাকাতেও গত সপ্তাহে দুটি ফাঁকা বাড়িতে ঢুকে তেমন কোনও সামগ্রী না পেয়ে ঘর তছনছ করেছে। বুধবারও শিবমন্দির এলাকায় রাতের অন্ধকারে একটি বাড়িতে জানলা ভেঙে মোবাইল ফোন চুরি করে দুষ্কৃতীরা। চুরি করে ফেরার আগে বাড়ির সামনে শৌচকর্ম করে গিয়েছে দুষ্কৃতীদের দল।
গত কয়েকদিনে এই ধরনের ছয়টি সাইকেল এবং ২০টি মোবাইল ফোনও উদ্ধার করেছে মাটিগাড়া থানার পুলিশ। দেখা যাচ্ছে, সাইকেলগুলো ৩০০-৪০০ টাকা এবং মোবাইলগুলি ৭০০-৮০০ টাকায় বিক্রি করে দেওয়া হয়েছিল। যারা চুরি করছে, তারা বেশিরভাগই মাদকাসক্ত। পুলিশের ধারণা, নেশার টাকা জোগাড় করতে হাতের কাছে জুতো, বালতি, ফোন, চার্জার, যে যা পাচ্ছে, সেটাই চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে। সপ্তাহখানেক আগে বাগডোগরা থানার পুলিশও অনেকগুলো মোবাইল ফোন উদ্ধার করেছিল। সেই ফোনগুলো ফাঁসিদেওয়া, নকশালবাড়ি এলাকায় ১০০০ থেকে ১২০০ টাকার বিনিময়ে বিক্রি করা হয়েছিল। যাদের থেকে ফোন উদ্ধার হয়েছে, তাদের থেকে দুষ্কৃতীদের পরিচয় নিয়ে তদন্ত করছে পুলিশ।