ফাঁসিদেওয়া: বিজেপি কর্মী খুনের ১ বছর পেরিয়ে গেলেও অভিযুক্ত তৃণমূল কংগ্রেস নেতা তথা শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ মহম্মদ আইনুল হককে এখনও গ্রেপ্তার করেনি পুলিশ। ৭২ ঘণ্টার মধ্যে পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করতে না পারলে দলের কর্মীরাই বিজেপি কর্মী অপু চৌধুরীর খুনিকে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেবেন, এমনই হুঁশিয়ারি দিলেন বিজেপির শিলিগুড়ি সাংগঠনিক জেলা সভাপতি তথা মাটিগাড়ার বিধায়ক আনন্দময় বর্মন। যদিও পুলিশ এবিষয়ে কোনও মন্তব্য করেনি।
শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের ত্রিস্তর গ্রাম পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগের রাতে বিজেপি কর্মী অপু চৌধুরীকে লাথি মেরে খুনের অভিযোগ উঠেছিল মহকুমা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ তথা তৃণমূল কংগ্রেসের দার্জিলিং জেলা সহ সভাপতি মহম্মদ আইনুল হকের বিরুদ্ধে। আগে একাধিকবার আইনুলের করা আগাম জামিনের আবেদন খারিজ করেছিল আদালত। ১৩ জুন ফের আইনুলের আগাম জামিন নাকচ করেছে হাইকোর্ট। তার পর থেকেই ২টি ফোন নম্বর বন্ধ করে রেখেছেন তিনি।
অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারের দাবিতে শনিবার বিক্ষোভ মিছিল করে ভারতীয় জনতা যুব মোর্চা। ফাঁসিদেওয়া গ্রামীণ হাসপাতালের সামনে থেকে মিছিল শুরু হয়। এরপর থানার সামনে অবস্থান বিক্ষোভ করে তারা। বেশ কিছুক্ষণ পুলিশের সঙ্গে বচসার পর কয়েকজন বিজেপি নেতা ফাঁসিদেওয়া থানার ওসি সুমনকল্যাণ সরকার এবং সার্কল ইন্সপেক্টর (নকশালবাড়ি) সুদীপ্ত সরকারের সঙ্গে আইনুলের গ্রেপ্তারির দাবিতে আলোচনা করেন। এদিনের কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন মৃত বিজেপি কর্মী অপু চৌধুরীর স্ত্রী শোভা চৌধুরীও।
আনন্দময়ের কথায়, ‘একাধিকবার জামিন নাকচ হয়েছে খুনে অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার। এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন আইনুল। অথচ, পুলিশের দাবি তাঁকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তাই পুলিশের ওপর আমাদের আর কোনও আস্থা নেই। তাদের ৭২ ঘণ্টা সময় দেওয়া হয়েছে। এরমধ্যে আইনুলকে গ্রেপ্তার করতে না পারলে, আমাদের দলের কর্মীরাই অভিযুক্তকে ধরে পুলিশের হাতে দেবেন।’ ভারতীয় যুব মোর্চার শিলিগুড়ি সাংগঠনিক জেলা সভাপতি অরিজিৎ দাসও একই মন্তব্য করেছেন।