রাঙ্গালিবাজনা: গত বছরের ২৮ ডিসেম্বর পাচারের সময় ২৩৮ টি মোট উদ্ধার করে এসএসবি। আলিপুরদুয়ার জেলার বীরপাড়া থানার পুলিশের মাধ্যমে সেগুলি রাঙ্গালিবাজনার খোঁয়াড়ে রাখা হয়। ১৬ই ফেব্রুয়ারি মহিষগুলি একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার হাতে তুলে দেওয়ার নির্দেশ দেয় আদালত। তবে পশু পরিবহণের উপযুক্ত গাড়ি জোগাড় করতে না পারায় বৃহস্পতিবার পর্যন্ত মহিষগুলি নিয়ে যেতে পারেনি সংস্থাটি।
বৃহস্পতিবার এনিয়ে নাজেহাল হয় পুলিশও। ১৮ ফেব্রুয়ারিও উপযুক্ত গাড়ি নিয়ে আসতে না পারায় সাধারণ ট্রাকে মহিষগুলিকে নিয়ে যেতে দেয়নি পরিবহণ ও প্রাণী সম্পদ উন্নয়ন দপ্তর। মহিষগুলিকে সংস্থার প্রতিনিধির জিম্মায় দিতে বৃহস্পতিবার খোঁয়াড়ে কয়েক ঘন্টা অপেক্ষা করেন জয়গাঁর এসডিপিও প্রশান্ত দেবনাথ, আলিপুরদুয়ারের মোটর ভেহিক্যাল ইনস্পেক্টর অঙ্কুর চক্রবর্তী, মাদারিহাটের পশু চিকিৎসক সুপর্ণা দাস, মাদারিহাট থানার ওসি মিংমা শেরপা, বীরপাড়া থানার ওসি নয়ন দাস প্রমুখ। তবে লাভ হয়নি।
এদিকে মহিষগুলিকে নিয়ে খোঁয়াড়ের ইজারাদার সাহিব আখতারের ‘ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি’ অবস্থা! তিনি জানান, এতদিন ধরে মহিষগুলি দেখভালের খরচ যোগাতে তিনি ঋণে জর্জরিত হয়ে পড়েছেন। সংস্থাটি মহিষগুলি নিয়ে না যাওয়ায় প্রতিদিন তাঁর বিরাট অংকের টাকা বাড়তি খরচ হচ্ছে। রাঙ্গালিবাজনা থেকে মোস্তাক মোরশেদ হোসেনের রিপোর্ট উত্তরবঙ্গ সংবাদ।