উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: জয়নগর দোলুইখাকি কান্ডে হাইকোর্টে মুখ পুড়ল কলকাতা পুলিশের।দোলুইখাকিতে ত্রাণ নিয়ে যাওয়ার পথে পুলিশ কর্মীদের বাধার মুখে পড়ে সিপিএম নেতা কর্মীরা।সোমবার সিপিএমের পক্ষ থেকে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণে বাধা দেওয়ার জন্য কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল বাম নেতা তথা আইনজীবী সায়ন চক্রবর্তী।এই মামলাটি উঠেছিল বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসে।সেই মামলায় সিপিএমকে শর্তসাপেক্ষে ত্রাণ নিয়ে যাওয়ার অনুমতি দিল মহামান্য আদালত।
রবিবার দোলুয়াখাকিতে ত্রান দিতে গিয়ে বাধার সম্মুখীন হন বাম নেতা তথা আইনজীবী সায়ন চক্রবর্তী ও একদল সিপিএম নেতা কর্মী। তাঁদের আটকে দেওয়া হয় গ্রামের চার কিলোমিটার আগে।তাই নিয়ে সিপিআইএম নেতা কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের রীতিমতো ধ্বস্তাধ্বস্তি হয়। শুধু সায়নরা নন,বাম শীর্ষ নেতৃত্বকে আটকানো হয় ঘটনার পরদিন। এমনকি সিপিএমের প্রথমসারির নেতা সুজন চক্রবর্তী, কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়, মহম্মদ সেলিমদেরও আটকে দেয় পুলিশ।অন্যদিকে গত সপ্তাহে কংগ্রেস কর্মীরা গিয়েও বাধার মুখে পড়েন। আটকানো হয় অম্বিকেশ মহাপাত্রকেও।
যদিও কলকাতা হাইকোর্ট ত্রাণ নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে বেশ কিছু শর্তও আরোপ করেছে।এদিন বিচারপতি মান্থা স্পষ্ট জানান, ‘সিপিএম প্রতিনিধি দল গ্রামে ত্রাণ নিয়ে যেতেই পারেন।কিন্তু গ্রামের ভিতরে যেতে পারবেন মোট চারজন।যাওয়ার আগে থাকবেন চারজন পুলিশ আধিকারিক। যাওয়ার আগে জানাতে হবে স্থানীয় থানাকেও।’