উত্তরবঙ্গ ব্যুরো: গণতন্ত্রে নারী-পুরুষের সমানাধিকার। গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষায় নারীর পূর্ণাঙ্গ অংশগ্রহণ। এই দুই লক্ষ্য বাস্তবায়িত করতে করণদিঘি ব্লকের করণদিঘি-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের বিডিও অফিস প্রাঙ্গণের ১৮২ নম্বর বুথ মহিলাকর্মী দ্বারা পরিচালিত। শুক্রবার লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় দফায় নির্বিঘ্নে ভোটগ্রহণ চলছে এই বুথে।
২০১৮ সালে এই পদক্ষেপ করেছিল জাতীয় নির্বাচন কমিশন। এবারে লোকসভা ভোটে মহিলা পরিচালিত ‘পিঙ্ক বুথ’ করা হয় করণদিঘিতে। ২৬৩টি বুথের মধ্যে মাত্র একটি ‘পিঙ্ক বুথ’। পঞ্চায়েত ভোটেও এই মহিলা পরিচালিত বুথ ছিল করণদিঘি ব্লকে। রাজ্যের পুরসভা ভোটেও মহিলা পরিচালিত বুথ করেছিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন।
বিডিও অফিসের এই বুথকে গোলাপি রংয়ের বেলুন দিয়ে সাজিয়ে দেওয়া হয়েছে। ফটকেও ছিল গোলাপি রংয়ের ব্যবহার। এমনকি, কর্মীদের পোশাকও গোলাপি রংয়ের ছিল। কোথাও কোথাও বুথের দেওয়ালেও ওই রং করা হয়েছে।
অন্যদিকে, ভোট দিতে গিয়ে সেলফিতে মজলেন ভোটাররা। শুক্রবার রায়গঞ্জের গোয়ালপাড়ার মোহরকুঞ্জে পিঙ্ক বুথের দেখা মেলে। সেটি মডেল বুথ। সেখানে সেলফি কর্নার থেকে মাতৃদুগ্ধ কক্ষ, টেলিমেডিসিন, বয়স্কদের বিশ্রাম কক্ষের দেখা মেলে। ভোট দেওয়ার পর তরুণ থেকে বৃদ্ধ উভয়কেই দেখা যায় সেলফি নিতে। আবার দেবীনগরের দেবীতলা এলাকায় এক নববিবাহিত স্বামী-স্ত্রীকে ভোটের পর সেলফি নিতে দেখা যায়।
চোপড়া হাইস্কুলের একজোড়া বুথকে মডেল বুথ করা হয়েছে। এখানকার ১৯৪ নম্বর বুথে মোট ভোটার ৬০৭ জন। ১৯৫ নম্বর বুথে ভোটার ১২২৭ জন। মহিলাকর্মীরা এই দুই বুথে ভোট পরিচালনা করবেন। নির্বাচন কমিশন থেকে চোপড়া বিধানসভা এলাকাকে গোলাপি কেন্দ্র হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এখানকার মডেল বুথ দুটিকে গোলাপি রংয়ের প্যান্ডেল ও সামিয়ানা দিয়ে সাজানো হয়েছে। ওই দুই মডেল বুথের প্রিসাইডিং অফিসার অনিমা মজুমদার ও রুমকি চৌধুরী বলেন, ‘এখানে ভোটকর্মীদের ড্রেস কোডও গোলাপি। ভোটদাতাদের জন্য বিভিন্ন রকম সুবিধা থাকছে।’