শিলিগুড়িঃ বিজেপির শক্ত ঘাঁটি উত্তরবঙ্গে নজর এবার কংগ্রেসেরও। ‘ভারত ন্যায় যাত্রা’ দক্ষিণবঙ্গকে না ছুঁলেও, উত্তরবঙ্গে বিজেপি বিরোধী প্রচার চালাতে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধি কোনও কসুর রাখতে চাইছেন না। হাতে কম সময় থাকায় ভারত ন্যায় যাত্রা উত্তররের তিনটি জেলাকে ছুঁয়ে যাবে বলে এখনও পর্যন্ত ঠিক হয়েছে। পরিস্থিতি বুঝে ন্যায় যাত্রার রুটে পরিবর্তন করা হতে পারে বলে খবর। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি, শিলিগুড়ি হয়ে বিহারের দিকে এগিয়ে যাবে রাহুলের ন্যায় যাত্রা। সূত্রের খবর, শিলিগুড়ির মূল শহরের ভেতর কংগ্রেসের যাত্রাটি প্রবেশ করবে না। তার বদল নৌকাঘাট, মেডিকেল মোড় হয়ে সেটি বাগডোগরার দিকে এগিয়ে যাবে।
পরিকল্পনা অনুযায়ী ন্যায় যাত্রা ফেব্রুয়ারি মাসের ১২ থেকে ১৪ তারিখের মধ্যে সেটি শিলিগুড়ি পৌঁছে যাবে। খবর, শিলিগুড়ি শহরের যানজটের কথা মাথায় রেখেই রাহুল গান্ধির যাত্রাটি শহরের বাইরে দিয়ে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে দার্জিলিং জেলা কংগ্রেস নেতৃত্বের কাছে ইতিমধ্যে বিকল্প রুট ম্যাপ চেয়েছে প্রদেশ নেতৃত্ব। সেক্ষেত্রে মেডিকেল ও ঘোষপুকুর বাইপাস রটের কথা জেলা নেতৃত্ব জানিয়েছে। তবে শিলিগুড়ির ওপর দিয়ে ন্যায় যাত্রা চলার পথে অধিকাংশ সময় রাহুল হুট খোলা বাসে থাকবেন বলে খবর।
প্রদেশ কংগ্রেস নেতা তথা জেলা কংগ্রেস সভাপতি শংকর মালাকার বলেন, ‘মেডিকেল রুট হয়ে ন্যায় যাত্রা এগিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশী। সব কিছু ঠিক থাকলে মেডিকেল সংলগ্ন এলাকায় রাহুল গান্ধির বিশ্রাম শিবির করা হবে। মেডিকেলে তিনি জনগনের উদ্দেশ্যে ভাষণ দেবেন। তবে তিনি শিলিগুড়িতে রাত কাটাবেন কিনা সেই বিষয়ে এখনও কোন খবর নেই।’ কংগ্রেস সূত্রে খবর, মেডিকেল হয়ে ন্যায় যাত্রা বাগডোগরা, নকশালবাড়ি হয়ে বিহারের ঠাকুরগঞ্জের দিকে চলে যাবে।
অন্যদিকে, উত্তর-পূর্ব ভারতে যাত্রা পেরিয়ে, সেটি অসম থেকে আলিপুরদুয়ার জেলায় প্রবেশ করবে। সেখান থেকে বারোভিসা হয়ে জলপাইগুড়ি বাইপাস হয়ে শিলিগুড়ির দিকে চলে আসবে। এখনও পর্যন্ত যা খবর তাতে কোচবিহার জেলায় যাত্রাটি প্রবেশ করার কোনও পরিকল্পনা নেই। আগামী ১৪ জানুয়ারি মণিপুর থেকে ন্যায় যাত্রা শুরু হচ্ছে। মোট ৬ হাজার ২০০ কিলোমিটার দীর্ঘ যাত্রাটি দেশের ১৪টি রাজ্যের ওপর দিয়ে গিয়ে মহারাষ্ট্রে শেষ হবে। বিজেপি নেতৃত্বের একাংশের মতে, উত্তরবঙ্গের যেই জেলার ওপর দিয়ে যাত্রা যাবে সেগুলি বিজেপির দখলে। এক্ষেত্রে লোকসভা নির্বাচনের আগে যাত্রা নিয়ে দলীয় নেতাকর্মীদের মনোবল আরও বড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।