শিলিগুড়ি: দেশে কায়েম হয়েছে নিউ লিবারেল ইকোনমিক পলিসি। যা ফ্যাসিজমেরই নামান্তর মাত্র। দিশা দেখাতে পারছে না সরকার। রাষ্ট্রব্যবস্থা ও পুঁজিপতিদের একযোগে আক্রমণ করে এই ভাষাতেই বিকল্প অর্থনীতির পক্ষে আওয়াজ তুললেন অর্থনীতিবিদ প্রভাত পট্টনায়েক। এছাড়া দেশের সাধারণ নাগরিকদের খাদ্য, শিক্ষা-স্বাস্থ্য পরিষেবা ও কর্মসংস্থানের প্রসঙ্গেও নিজের বক্তব্য পেশ করেন জেএনইউ ও কেমব্রিজের এই কৃতি ছাত্র।
বুধবার শিলিগুড়ির দীনবন্ধু মঞ্চে রতনলাল ব্রাহ্মণ মেমোরিযাল ট্রাস্টের তরফে ধান্দার ধনতন্ত্র ও নয়া ফ্যাসিবাদ শীর্ষক আলোচনা সভার আযোজন করা হয়। সেখানে দার্জিলিং-যে প্রাক্তন সিপিএম সাংসদ রতনলাল ব্রাহ্মণ স্মারক বক্তৃতায় একমাত্র বক্তা হিসেবে আমন্ত্রন জানানো হয় প্রভাত পট্টনায়েককে। সেই সভাতেই নিজের বক্তব্যে বিকল্প অর্থনীতির প্রশ্নে সুর চড়ান অধ্যাপক পট্টনায়েক।
এদিন তিনি জানান, দেশে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও গনমাধ্যমে অঘোষিত জরুরি অবস্থা চলছে বলে দাবি করা হচ্ছে। অথচ আসলে সমস্যা আরও গভীরে। দেশের বেশিরভাগ সম্পদ মাত্র এক শতাংশ মানুষের দখলে রয়েছে। অন্যদিকে সেই সমস্ত পুঁজিপতিদের বিভিন্ন সময় অর্থনৈতিক সুবিধা দিচ্ছে এদেশের সরকার। অথচ সামান্য অর্থের কারণে ঘটছে কৃষক আত্মহত্যার ঘটনা। এসবের বদল দরকার বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
এছাড়াও তিনি জানান, প্রতিবছর বড় পুঁজিপতিদের যে পরিমাণ কর ছাড় দেওয়া হয় সেই টাকায় ওয়েলফেয়ার স্টেট গঠন করা যেতে পারে। ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে অর্থনৈতিক শ্রীবৃদ্ধি দেখাচ্ছে সরকার। অথচ বিশ্ব ক্ষুধা সূচকে ভারতের অবস্থান ক্রমাগত নামতে শুরু করেছে গত কয়েক বছর থেকেই। এদিন নিউ লিবারেল ইকোনমি পলিসি সম্পর্কে আলোচনায় ব্রাজিল, জার্মান, ফ্রান্স সহ পৃথিবীর বহু দেশের বিভিন্ন সময়ের সরকারের সমালোচনা করেন প্রবীণ এই মার্কসীয় অর্থনীতিবিদ।