উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: সবই সম্ভব। সরকারি ব্যবস্থার দৌলতে বৃদ্ধ বয়সেও স্কুলে চাকরির নিয়োগপত্র (Primary Recruitment) পেলেন ৬২ জন। এদের মধ্যে কারও বয়স ৬৩, কারও ৬৫। কেউ আবার ৭০ পার করেছেন, কেউ বা আবার প্রয়াত। হুগলি জেলার এমন ঘটনায় রাজ্যজুড়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
সরকারি নিয়মে স্কুলে চাকরির বসয়সীমা ৬০। হুগলি (Hoogly) জেলা প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ থেকে যে ৬২ জনকে চাকরির নিয়োগপত্র (Appointment letter) পাঠানো হয়েছে তাঁদের মধ্যে চারজন এখন মৃত। অনেকে চাকরির তালিকায় নাম আছে শুনে পাণ্ডুয়া সার্কেলে খোঁজ নিতে আসেন। এমনই একজন নিখিল কুমার বন্দ্যোপাধ্যায়। বয়স সত্তরের কাছাকাছি। ১৯৭৭-৭৮ সালে তিনি প্রাথমিকের পরীক্ষা দিয়েছিলেন। চাকরি না পেয়ে ১৯৮২ সালে আদালতে মামলা করেছিলেন নিখিলবাবু। সম্প্রতি সেই মামলার রায় শুনিয়েছে কোর্ট। তারপরেই তাঁদের সময়ের চাকরিপ্রার্থীদের নিয়োগপত্র দিতে শুরু করেছে পর্ষদ। আরও এক প্রার্থী দীনবন্ধু ভট্টাচার্য জানান, সে সময় বামফ্রন্ট সরকার ছিল। তাঁরা প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত হলেও চাকরি পাননি। পরে প্যানেল বাতিল হয়ে যায়। এতদিন পর নিয়োগপত্র পেয়েছেন। কি করে এমনটা হল বুঝতে পারছেন না।
আরও এক নিয়োগপত্র প্রাপক অচিন্ত্য আদক জানান, ‘আমরা ৮৩ সালে মামলা করেছিলাম। এখন চাকরি কী করে দিল জানি না। ষাট বছরে তো অবসর হয় আর এই বয়সে কি করে চাকরি করব?’ এবিটিএ কেন্দ্রীয় সভাপতি মোহন পণ্ডিতের কথায়, ‘সারা ভারতবর্ষে এই ধরনের ঘটনা হয়নি। অবসরের বয়স পেরিয়ে যাওয়ার পর চাকরির নিয়োগ পত্র দেওয়া হচ্ছে। ২০১৪ সাল থেকে তারা এফেক্ট পাবেন। চাকরিতে যোগ দেওয়ার পরই চাকরি চলে যাবে। এবং পঞ্চাশ লাখ টাকা করে পাবে। এ এক অভূতপূর্ব ঘটনা। আমরা তদন্ত চাই বিষয়টার সত্য উদঘাটিত হোক’। হুগলি জেলা পরিষদের শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ সুবীর মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, আদালত যে রায় দিয়েছে, সেটাকে কার্যকর করা তাঁদের দায়িত্ব। যদিও এ বিষয়ে হুগলি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারপার্সন শিল্পা নন্দী কোনও মন্তব্য করতে চাননি।