হিলি: স্বনির্ভর দলের সংঘের সদস্যদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে সরব হলেন মহিলারা। বিনশিরা পঞ্চায়েতের সংঘের নতুন বোর্ড গঠনের দাবি তুলেছেন বিক্ষোভকারীরা। ঘটনায় সংঘের অফিসে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ দেখান হিলি পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যা দীপিকা বর্মন। পঞ্চায়েত চত্বরে উত্তেজনার খবর পেয়ে পৌঁছোয় হিলি থানার পুলিশ। কিছুক্ষণ পর পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
হিলি ব্লকের বিনশিরা পঞ্চায়েতের স্বনির্ভর দলগুলির পঞ্চায়েতওয়াড়ি সম্মিলিত সংগঠন বা সংঘের বার্ষিক সাধারণ সভার আয়োজন করা হয়েছিল। ওই সভা শুরু হতেই সংঘের কার্যালয়ের সামনে বিভিন্ন স্বনির্ভর দলের মহিলারা সংগঠিত হন। তারপরেই দুর্নীতি সহ নয় দফা দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করেন এসএইচজির সদস্যারা। ঘটনায় স্বনির্ভর দলের সদস্যদের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন সংঘের পরিচালন সমিতির নেত্রীরা। এরপরই আন্দোলনকারীদের সংঘের অফিসঘর থেকে বের করে পরিচালন সমিতির চার নেত্রীকে আটকে রেখে সংঘের ঘরের গেটে তালা ঝুলিয়ে দেন পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যা দীপিকা। একাধিক ইস্যুতে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন শতাধিক মহিলা। বিক্ষোভকারীরা সংঘের কাজকর্ম স্থগিত করে দিয়ে ব্লক প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এরপরই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
আন্দোলনকারী দীপিকা বর্মন বলেন, ‘আমিও স্বনির্ভর দল করি। মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে আন্দোলনে নেমেছি। সবাইকে অন্ধকারে রেখে বার্ষিক সাধারণ সভা ডাকা হয়েছে। সংঘের নেত্রীরা অনেক দুর্নীতি করেছেন। তাঁরা প্রত্যেকে দুর্নীতিগ্রস্ত। আমরা নতুন বোর্ডের দাবি করেছি। গত বছরের হিসেব নিকেশ প্রকাশ্যে নিয়ে আসার দাবি জানানো হয়েছে। এসব অনিয়মের বিরুদ্ধে আমাদের আন্দোলন। আমাদের দাবি না মানা হলে আন্দোলন চলবে।’
বিনশিরা পঞ্চায়েতের সংঘের সম্পাদিকা শিউলি মহন্ত ঘোষ বলেন, ‘মিথ্যা কথা বলছে। পঞ্চায়েতের ইন্ধনে এরকম করছে। ঘরে আটকে রেখে নিগ্রহ করা হয়েছে। আমাকে হেনস্তা করা হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানাব। থানায় অভিযোগ করব।’