হরিশ্চন্দ্রপুর: ফের অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে অনিয়মের অভিযোগ উঠল মালদার হরিশ্চন্দ্রপুরে। খিচুড়িতে বাসি ভাত মেশানোর পাশাপাশি মিলেছে মাছিও। এমনই অভিযোগে রাস্তায় গরম খিচুড়ি ঢেলে বিক্ষোভ দেখালেন অভিভাবকরা। সোমবার হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লকের রশিদাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত খোসালপুর অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা।
অভিযোগ, খোলা আকাশের নীচেই চলছে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রটি। অসুস্থতার জেরে গত তিন মাস ধরে ছুটিতে ওই কেন্দ্রের কর্মী শোভা খাতুন। তাঁর বদলে অন্য এক অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের কর্মী শকুন্তলা দাসকে অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তিনিও ঠিকমতো আসেন না। বদলে তাঁর ছেলে প্রণব দাস এবং বৌমা এসে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রটি চালান। এর জেরে নিয়মিতভাবে কেন্দ্রটি খোলে না। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী দেওয়া হয় না খাবার। যে খাবার দেওয়া হয় সেটাও অত্যন্ত নিম্নমানের। অভিভাবকরা অভিযোগ জানাতে গেলে করা হচ্ছে দুর্ব্যবহার। এদিকে এই কেন্দ্রে সরকারিভাবে নেই রাঁধুনি। মাসে ৩০০ টাকা ভাড়া দিয়ে রান্নার লোক রাখা হয়েছে। এমনকি, শোভা খাতুনের অনুপস্থিতিতে খাবারে বেনিয়ম নিয়ে এক অভিভাবক অভিযোগ জানাতে গেলে তাঁর শিশুর পায়ে গরম খিচুড়ি ঢেলে দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ উঠেছে। দীর্ঘদিন ধরেই এই কেন্দ্র নিয়ে ক্ষোভ জমছিল অভিভাবকদের মধ্যে। সোমবার খিচুড়িতে মাছি এবং বাসি ভাত মেশানো দেখে ক্ষোভে ফেটে পড়েন অভিভাবকরা।
এ প্রসঙ্গে হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লকের সুসংহত শিশু বিকাশ প্রকল্পের আধিকারিক আব্দুস সাত্তার বলেন, ‘ঘটনার কথা শুনেছি। অবিলম্বে এই ঘটনা খতিয়ে দেখা হবে। দোষীদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে প্রশাসন।’ স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য গুল মহম্মদের কথায়, ‘আমি তো প্রায়ই দেখি এই কেন্দ্রে অনিয়ম চলে। আজকেও এখানে এসে দেখতে পাচ্ছি অভিভাবকদের অভিযোগ সত্যি। আমি প্রশাসনের কাছে এই কেন্দ্রের কর্মীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আর্জি জানাব।’
গত সপ্তাহেও হরিশ্চন্দ্রপুরের দু’টি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। কোথাও টোটো করে কাঁচা ডিম বিলি, আবার কোথাও অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের খাবারের অমিল থাকার অভিযোগ ওঠে। সেই রেশ কাটতে না কাটতেই ফের হরিশ্চন্দ্রপুরের একটি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে অনিয়মের অভিযোগ উঠল।