উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ ৯ বছর মামলা চলার পর দৃষ্টান্তমূলক সাজা পেল এক বিজেপি বিধায়ক। নাবালিকা ধর্ষণে অভিযুক্ত এই বিজেপি নেতাকে দোষী সাব্যস্ত করেছে আদালত। ২৫ বছর কারাদণ্ড ও ১০ লক্ষ টাক জরিমানার সাজা শুনিয়েছে আদালত। এমন সাজা হল যা দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।
জানা গিয়েছে, নাবালিকা ধর্ষণ মামলায় সাজাপ্রাপ্ত বিজেপি বিধায়কের নাম রামদুলারে গোঁদ। তিনি উত্তরপ্রদেশে সোনভদ্র জেলার দুদ্ধি বিধানসভার জনজাতি বিধায়ক। তার স্ত্রী বর্তমানে স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান। ২০১৪ সালের ৪ নভেম্বর এলাকার এক নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে গোঁদের বিরুদ্ধে। এই ঘটনার পর বিজেপি বিধায়কের বিরুদ্ধে মাইওরপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করে নির্যাতিতার পরিবার। এরপর থেকেই বিধায়ক, তাঁর স্ত্রী ও পরিবারের অন্যরা অভিযোগ তুলে নেওয়ার জন্য নির্যাতিতার পরিবারের ওপরে নানাভাবে চাপ সৃষ্টি করতে থাকে বলে অভিযোগ। কিন্তু শত চাপের মুখে পড়েও মামলা প্রত্যাহার করেনি সেই পরিবার।
উত্তরপ্রদেশে গত বিধানসভা ভোটে বিজেপির প্রার্থী হয়েছিল রামদুলারে গোঁদ। সে ভোটে জিতে যাওয়ার পর ওই মামলার শুনানি এমপি-এমএলএ কোর্টে স্থানান্তর করা হয়। দীর্ঘ শুনানির পর ওই আদালতই এদিন রামদুলারেকে ২৫ বছরের কারাদণ্ডের সাজা শুনিয়েছে। সেই সঙ্গে ১০ লক্ষ টাকা জরিমানা ধার্য করা হয়েছে। এমপি-এমএলএ কোর্টের বিচারক ছিলেন আসান উল্লাহ খান। তিনি এদিন রায়ে নির্দেশ দিয়েছেন, ওই বিধায়কের থেকে জরিমানার টাকা আদায় করে নাবালিকাকে ক্ষতিপূরণ বাবদ তা দিতে হবে।
সরকারি আইনজীবী সত্যপ্রকাশ ত্রিপাঠি এদিন জানিয়েছেন, “ওই বিধায়কের বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা রুজু করা হয়েছিল। শুধু তাই নয়, এই অভিযোগও ছিল যে সে তথ্য প্রমাণ লোপাট করার চেষ্টা করছিল। ভারতীয় দণ্ডবিধির ধারা প্রয়োগ করে সেই কারণেই তাকে কঠোরতম শাস্তি দেওয়া হয়েছে”। পকসো আইনে দেশের আইনসভার কোনও সদস্যের এই প্রথম এত কঠোরতম সাজা হল।