শিলিগুড়ি: টাকার বিনিময়ে শিলিগুড়ির স্টেশন ফিডার রোডে দোকান বসানোর অভিযোগ উঠেছিল শাসকদলের কয়কেজন নেতার বিরুদ্ধে। এমন খবর উত্তরবঙ্গ সংবাদে প্রকাশিত হতেই বুধবার সকালে এসএফ রোডে অভিযান চালিয়ে সমস্ত স্ট্রিট ফুডের দোকান তুলে দিল শিলিগুড়ি পুরনিগম। থানা মোড় থেকে শুরু করে জলপাইমোড় পর্যন্ত রাস্তার দুই ধারে থাকা সমস্ত দোকান তুলে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ফুটপাথে অনেকে কংক্রিটের প্রলেপ দেওয়া হয়েছিল সেগুলিও ভেঙে ফেলা হয়েছে। আলোচনা করে সরকারিভাবে দোকান বা জায়গা বণ্টন না হওয়া পর্যন্ত কোনও দোকান বসতে পারবে না বলে পুরনিগমের তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। এদিন বিকেলে ওই এলাকায় কোনও দোকান নজরে আসেনি।
এদিকে, যারা টাকা দিয়ে দোকান বসিয়েছিল তাঁদের একাংশ সকাল থেকেই শহরের শাসকদলের বিভিন্ন নেতাদের বাড়িতে বাড়িতে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। এখন তাঁরা কী করবেন, কতদিন দোকান বন্ধ রাখতে হবে, নতুন করে আবার কোথায় যেতে হবে এই প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে ওই ব্যবসায়ীদের মধ্যে। নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক এক ব্যবসায়ী বলেন, ‘পুরনিগম থেকে বলেছে দোকান সরিয়ে নিতে। আমরা সরিয়ে নিয়েছি। কিন্তু এখন কোথায় যাব সেটাইতো বুঝতে পারছি না। দোকান বসাতে পারব কি না সেটাও কেউ কিছু বলছে না।’
শিলিগুড়ির স্টেশন ফিডার রোডে রাস্তার দুই ধারে স্ট্রিটফুড হাব তৈরি করবে রাজ্য সরকার। রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের মাধ্যমে ফান্ডিং করা হয়েছে। শিলিগুড়ি পুরনিগমকে দোকান বণ্টনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ, টাকার বিনিময়ে ওই এলাকায় দোকান বসাচ্ছে শাসকদলের কয়েকজন নেতা। এর পেছনে রয়েছে জলপাইমোড় এবং রামঘাট এলাকার এক যুব তৃণমূল নেতা। ওই নেতাই প্রতি দোকান থেকে টাকা তুলছিল বলে অভিযোগ। দোকান প্রতি ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা করে নেওয়া হচ্ছিল।
এই প্রসঙ্গে দার্জিলিং জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভানেত্রী পাপিয়া ঘোষের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেনি। শিলিগুড়ি পুরনিগমের মেয়র গৌতম দেবের বক্তব্য, ‘আমি তো আগেই বলেছিলাম নতুন করে কিছু হবে না। সব ভেঙে দেওয়া হবে। কাল রাতেই বলে দিয়েছিলাম অভিযান চালাতে।’