সাগর বাগচী, শিলিগুড়ি: সংস্কারের কাজের মানের সঙ্গে যাতে কোনও ধরনের আপস না হয়, সেই বিষয়টি সুনিশ্চিত করার আশ্বাস দিয়েছিলেন শিলিগুড়ির ডেপুটি মেয়র রঞ্জন সরকার। কিন্তু তারপরও শিলিগুড়ির বিকাশ ঘোষ মেমোরিয়াল সুইমিং পুলের (Swimming Pool) সংস্কারের কাজের মান নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। কাজের মান নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন সুইমিং পুলের সদস্য থেকে কর্মীরা। পুলের সংস্কারের কাজ দেখভালের দায়িত্ব যাতে মেয়র গৌতম দেব নিজের কাঁধে তুলে নেন, সদস্যদের একটি অংশ সেই দাবি তুলেছেন।
বিষয়টি নিয়ে গৌতম বলেন, ‘২০ জানুয়ারির পর স্টেডিয়াম কমিটির বৈঠকে আমিও থাকব। তখন সুইমিং পুলের বিষয়টি নিয়ে কথা বলব। এসজেডিএ প্রথমে যা কাজ করেছিল, তার মান নিয়ে প্রশ্ন ছিল। কাজটি যাতে ভালো করে হয়, সেটি দেখা হবে।’
সুইমিং পুলের কাজ নিম্নমানের হয়েছে বলে অভিযোগ। ইতিমধ্যেই তার মেঝের ও পাশের দেওয়ালে লাগানো নীল রংয়ের টাইলস খুলে গিয়েছে। সংস্কারের পর পুলটি চালু হওয়ার এক মাসের মধ্যে থেকে টাইলস খুলতে থাকে। অভিযোগ, খুলে যাওয়া টাইলসগুলি পরিবর্তন না করে, সেগুলি আবার মেঝের মধ্যে বসিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। পুলের কর্মীদের কথায়, টাইলস একবার লাগানোর পর সেটি দ্বিতীয়বার ব্যবহার করা যায় না। দ্বিতীয়বার সিমেন্ট, আঠা দিয়ে লাগানোর পর সেটি খুলে যাওয়ার প্রবল সম্ভাবনা থাকে। কেননা সেই টাইলসের পেছনের অংশটি ক্ষয়ে যায়। আর পুলের মাধ্যে জল পড়লেই সেটা নিশ্চিতভাবে খুলে যাবে।
এমনিতেই তো সুইমিং পুলটির মেঝে সমতল না হওয়ার অভিযোগ রয়েছে। নিয়ম মেনে তাতে জল ভরা যায় না। যার ফলে পুলের ওপরের অংশের নোংরা পরিষ্কার করা কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। গত বছরের ৩০ জানুয়ারি ডেপুটি মেয়র রঞ্জন পুলের কাজ খতিয়ে দেখতে গিয়েছিলেন। তার আগে পর্যন্ত পুলের সদস্যরা সেখানে একত্র হয়ে বিক্ষোভ দেখানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। কিন্তু ডেপুটি মেয়রের আশ্বাসে বিক্ষোভের সিদ্ধান্ত থেকে তাঁরা সরে আসেন। নতুন করে কাজের মান খারাপ হওয়ায় সদস্যরা ক্ষুব্ধ। সিতাংশু গোস্বামী, পঙ্কজ দাসদের কথায়, পুলে সাঁতার কাটতে গিয়ে খুলে যাওয়া টাইলসে অনেকের পা কেটে গিয়েছিল। সাঁতার শিখতে আসার সময় কি সবাই দুর্ঘটনার আশঙ্কা মাথায় নিয়ে আসবেন? মেয়র বিষয়টি দেখুন, সেটাই আমরা চাই।