সাগর বাগচী ও শমিদীপ দত্ত, শিলিগুড়ি: রাহুল আসছেন। শিলিগুড়ি (Siliguri) পুরোদমে তৈরি। রাহুল গান্ধির (Rahul Gandhi) ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রার (Bharat Jodo Nyay Yatra) শিলিগুড়িতে আসা নিয়ে আগে কম বিতর্ক হয়নি। বারবার সফরসূচি বদলেছে। আর এর জেরে কংগ্রেসের পাশাপাশি সাধারণ মানুষের মধ্যেও হতাশা ছড়িয়েছে। শেষপর্যন্ত অবশ্য জল্পনার অবসান। সবকিছু ঠিক থাকলে রবিবার দুপুর বেলা ২টা নাগাদ রাহুলের র্যালি শিলিগুড়িতে ঢুকছে। তাঁকে স্বাগত জানাতে শিলিগুড়ি কংগ্রেসের দলীয় পতাকা, ফেস্টুনে সেজে উঠেছে। শহরের নৌকাঘাট মোড় থেকে এসএফ রোড ধরে উড়ালপুল হয়ে এয়ারভিউ মোড় পর্যন্ত সর্বত্রই ফেস্টুনের ছড়াছড়ি। সাম্প্রতিককালে কোনও ভোটের আগে শিলিগুড়িতে কংগ্রেসের এমন উদ্যোগ দেখা যায়নি বলে দলের অতিবড় সমর্থকও মানছেন। যে সমস্ত কর্মী হাল ছেড়ে দিয়ে বসে পড়েছিলেন, রাহুলের এই কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে তাঁরাও বুকের হাপরে যেন সুবাতাস ভরেছেন। রাহুল-দর্শনের জন্য তাঁরা এখন সময় গুনছেন।
রাহুলের র্যালিকে কেন্দ্র করে দলীয় কর্মীদের পাশাপাশি কংগ্রেসের দার্জিলিং জেলা সভাপতি শংকর মালাকারও সমান উচ্ছ্বসিত, ‘রাহুল গান্ধিকে দেখার পাশাপাশি তাঁর কথা শুনতে অনেকেই মুখিয়ে রয়েছেন। থানা মোড় এলাকায় বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের মাধ্যমে রাহুলকে স্বাগত জানানো হবে। র্যালির গাড়ির সঙ্গে মাইকসেট লাগানো রয়েছে। হাসমি চক ও এয়ারভিউ মোড়ে গাড়ি থেকেই রাহুল জনতার উদ্দেশে বক্তব্য রাখবেন। আশা করছি, তাঁর এই বক্তব্য সবাইকে নতুনভাবে স্বপ্ন দেখাবে।’
রাহুলের এই কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে কংগ্রেসের বিভিন্ন শাখা সংগঠনও সমানভাবে সক্রিয় হয়েছে। শিলিগুড়ি শহরজুড়ে কংগ্রেসের ছাত্র ও যুব সংগঠনের পাশাপাশি আইনজীবী শাখার তরফেও বহু ফেস্টুন লাগানো হয়েছে। শনিবার দার্জিলিং জেলা ছাত্র পরিষদের তরফে বাম ছাত্র সংগঠনগুলির পাশাপাশি তৃণমূল ছাত্র পরিষদের কাছেও আমন্ত্রণপত্র পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে দার্জিলিং জেলা ছাত্র পরিষদের সভাপতি শাহানওয়াজ হুসেন বলেন, ‘রাহুল গান্ধির ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রায় যোগ দিতে ছাত্র পরিষদের পুরোনো কর্মীরা রবিবার শিলিগুড়িতে উপস্থিত থাকবেন।’ অন্য ছাত্র সংগঠনের নেতা–কর্মীরাও রাহুল গান্ধির সঙ্গে কথা বলার জন্য মুখিয়ে রয়েছেন বলে তাঁর দাবি।
তবে রাহুল গান্ধির এই কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে শহরে ট্রাফিক বন্দোবস্তে খুব বেশি পরিবর্তন আনা হচ্ছে না। শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটান পুলিশের ডিসি (ট্রাফিক) অভিষেক গুপ্তা বলেন, ‘রাহুল গান্ধির র্যালি শহরে প্রবেশ করলেও তা অল্প সময়ই শিলিগুড়িতে থাকবে। তারপর তা এখান থেকে অন্যত্র বেরিয়ে যাবে। সেই কারণে আগে থেকে রাস্তা বন্ধ করে দেওয়ার মতো কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। রাস্তায় চলাচলে সাধারণ মানুষের যাতে সমস্যা না হয়, সেই বিষয়টি মাথায় রাখা হচ্ছে।’ তবে পরিস্থিতি বুঝে কিছু পরিবর্তন পরে আনা হতে পারে বলে ডিসি (ট্রাফিক) জানিয়েছেন।