কিশনগঞ্জঃ ১৩ বছর পর কিশনগঞ্জে (Kishanganj) পা রাখলেন রাহুল গান্ধি (Rahul Gandhi)। চোপড়ার নলবাড়িতে বাত্রিবাস করে সোমবার সকালে রাহুলের ভারত জোড়ো যাত্রা প্রবেশ করে বিহারে। কিশনগঞ্জ থেকেই বিহারে যাত্রা শুরু হয় রাহুলের ন্যায় যাত্রার। রাহুলের এই ন্যায় যাত্রা ঘিরে কিশনগঞ্জে দলীয় কর্মী সমর্থকদের মধ্যে যথেষ্টই উৎসাহ উদ্দীপনা লক্ষ্য করা গিয়েছে। এদিন কিশনগঞ্জের খাগড়া আশফাক উল্লা স্টেডিয়ামে জনসভায় বক্তব্য রেখেছেন রাহুল। এই সভা থেকে বিজেপির বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে হিংসা বিভেদ ভুলে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষার আবেদন জানিয়েছেন তিনি।
রবিবারই বড় ধাক্কা খেয়েছে ‘ইন্ডিয়া’ জোট। জেডিইউ সুপ্রিমো নীতীশ কুমার যোগ দিয়েছেন এনডিএতে। আর এর পরদিনই বিহারে পা রাখলেন রাহুল গান্ধি। কিশনগঞ্জে রাহুলের ভারত জোড়ো যাত্রা ঢুকতেই চিরাচরিত কায়দায় মাদল বাজিয়ে নাচতে নাচতে স্বাগত জানান আদিবাসীরা। ২৭ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে ন্যায় যাত্রা পৌঁছায় ক্যালটেক্স মোড়ে। সেখানে মিনিট খানেক দাঁড়িয়ে গাড়ির ভিতরে বসেই কর্মী সমর্থকদের উদ্দেশ্যে হাত নাড়ান রাহুল। ফড়িং গোলা চকেও দাঁড়ায় রাহুলের ন্যায় যাত্রা। এরপর ধীরে ধীরে এগিয়ে স্থানীয় বাসস্ট্যান্ডে দাঁড়ায়। সেখানে গাড়ি থেকে নেমে রাহুল গান্ধি পায়ে হেঁটেই পৌঁছান খাগড়ার স্টেডিয়ামে। সেখানে জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে রাহুল গান্ধি বলেন, ভারতকে একসূত্রে বাঁধতেই তিনি বেরিয়েছেন ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রায়। অপরদিকে নাম না করে, বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতাদের তুলোধোনা করেছেন।
বক্তব্য রাখতে গিয়ে রাহুল গান্ধি বলেন, “রাজনীতিতে ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রার বিশেষ প্রভাব পড়বে। বিজেপির নীতি দেশে বিভেদ, হিংসা ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করছে। ভাঙা-গড়ার খেলায় মেতেছে বিজেপি। কংগ্রেসের নীতি ভালোবাসা। আর ভালোবাসার মাধ্যমে হিংসাকে জয় করার জন্যই এই যাত্রায় বেরিয়েছি।” তবে এদিনের সভায় নীতীশ কুমারের এনডিএতে যোগ নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি।
কিশনগঞ্জের খাগড়া আশফাক উল্লা স্টেডিয়ামে জনসভা শেষ করে রাহুলের ন্যায় যাত্রা শুরু হয় কোচাধামনের বুড়িমারী ও টুপামারী গ্রামে জনসভার উদ্দেশ্যে। রাহুলের দ্বিপ্রাহরিক বিশ্রামের ব্যবস্থা করা হয়েছে বুড়িমারী গ্রামে। এই যাত্রা আরারিয়া জেলার চার ঘরিয়া, জাহানপুর, জাহানপুররানী, রানী চক, হরবা চক, জউকি হাটের কিষান কলেজ চক, কাঁকন চক, তারন চক, বয়েরগাছি চক, কুরশা কাঁটা মোর, আরারিয়া জিরো মাইল, আরারিয়া চাঁদনি চক হয়ে নানু বাবার কালি মন্দিরে যাবে। আর প্রতিটি জায়গায় রাহুল জনসংযোগ কর্মসূচি চালাবেন। আর এইদিন আরারিয়ার যাদব কলেজ ময়দানে রাহুল রাত্রিবাস করবেন বলে দলীয় সূত্রে খবর।