সাগর বাগচী, শিলিগুড়ি: রাহুল গান্ধির (Rahul Gandhi) ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা (Bharat Jodo Nyay Yatra) দার্জিলিং জেলার ওপর দিয়ে চলে গিয়েছে বেশ কয়েকদিন হল। তবে যাত্রার ঢেউতে এত বছর পর কংগ্রেসের (Congress) বসে যাওয়া কর্মী-সমর্থকরা যে উজ্জীবিত তা মানছে দার্জিলিং জেলা কংগ্রেসের নেতৃত্ব। লোকসভা নির্বাচনের আগে রাহুল গান্ধির সফরের সেই ঢেউকে কাজে লাগাতে চাইছে কংগ্রেস। সেই কারণে ন্যায় যাত্রা শেষ হতে না হতেই কংগ্রেসের তরফে প্রতিটি ব্লকে বুথভিত্তিক কর্মসূচি নেওয়ার ক্ষেত্রে জোর দেওয়া হচ্ছে। কংগ্রেসের নীচুতলার কর্মীরা তৃণমূলের সঙ্গে জোটের যে বিপক্ষে, সেই বার্তা ইতিমধ্যে শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে পৌঁছে গিয়েছে।
দার্জিলিং জেলা কংগ্রেস সভাপতি শংকর মালাকারের কথায়, ‘ব্লকভিত্তিক কর্মীসভা করা হচ্ছে। সেখানে আমরা যোগ দিচ্ছি। বুথভিত্তিক সংগঠনকে মজবুত করাই প্রধান লক্ষ্য। সেই মতো নির্বাচনের আগে পর্যন্ত টানা কর্মসূচি নেওয়া হচ্ছে। তবে বাড়ি বাড়ি প্রচার চালানোর মতো সংগঠন আমাদের নেই।’
গত বিধানসভা নির্বাচনের আগেও শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদ এলাকায় কংগ্রেসের শক্তিশালী সংগঠন ছিল। তবে তৃণমূলের দল ভাঙানোর নীতিতে কংগ্রেসের সেই সংগঠন এখন তলানিতে ঠেকেছে। যে কয়েকজন নেতা-কর্মী ব্লক বা বুথ স্তরে রয়েছেন, তাঁরাও হাত গুটিয়ে বসেছিলেন। রাহুলের ন্যায় যাত্রার পর তাঁরাও এবার মাঠে নামতে চাইছেন আরেকবার।
তবে নতুন করে সংগঠন করার আগে নীচুতলার কর্মীরা বেশ কিছু শর্ত আরোপ করছেন। নকশালবাড়ি ব্লক কংগ্রেস কমিটির সভাপতি অমিতাভ সরকারের কথায়, ‘তৃণমূলের সঙ্গে কোনও ধরনের জোট নীচুতলার কর্মীরা চান না। তৃণমূল ছাড়া অন্য যে কোনও দলের সঙ্গে কর্মীরা জোট মেনে নিতে প্রস্তুত। নকশালবাড়ি এলাকায় ১৫৬টি বুথের মধ্যে ১৩২টিতে কমিটি রয়েছে। সংগঠন মজবুত করতে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে আমরা ‘নেতৃত্ব সম্মেলন’ শুরু করব।’
রাহুল গান্ধি শিলিগুড়ি (Siliguri) ছাড়তেই শিলিগুড়ি পুরনিগম এলাকায় সংগঠনের কাজে জোর দেওয়া হচ্ছে। দু’দিন আগেই ৪৬ নম্বর ওয়ার্ডে বসে যাওয়া পুরোনো কর্মীদের সঙ্গে জেলা নেতৃত্ব বৈঠক করে। জেলা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক জীবন মজুমদার সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। তাঁর কথায়, ‘সংগঠনকে সাজাতে বুথ স্তরের সম্মেলন সবচেয়ে জরুরি। ৪৬ নম্বর ওয়ার্ড থেকে শুরু করে প্রতিটি ওয়ার্ডে কর্মসূচি নেওয়া হচ্ছে। রাহুল গান্ধিকে দেখে অনেক মানুষ কংগ্রেসের হাত ধরতে প্রস্তুত।’