কিশনগঞ্জঃ উত্তর দিনাজপুর জেলার চোপড়ায় নলবাড়িতে রাত্রিবাস করে সোমবার সকালে বিহারে প্রবেশ করল রাহুল গান্ধির (Rahul Gandhi) ‘ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা’। ১৪ জানুয়ারি যখন মণিপুর থেকে যাত্রা শুরু করেছিলেন রাহুল, তখন বিহারে ক্ষমতায় ছিল ‘মহাগঠবন্ধন’ সরকার, যে জোটের শরিক ছিল তাঁর দল কংগ্রেসও। কিন্তু সোমবার যখন কিশনগঞ্জে প্রবেশ করল ন্যায় যাত্রা, তখন বিহার চলে গিয়েছে এনডিএর দখলে। ‘মহাগঠবন্ধন’ থেকে বেরিয়ে রবিবার এনডিএ-তে যোগ দিয়েছেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। এদিন কিশনগঞ্জের (Kishanganj) সভায় রাহুল গান্ধি বিজেপিকে একহাত নিলেও নীতীশ সম্পর্কে একটি বাক্যও ব্যয় করেননি তিনি।
সোমবার সকাল ১১টা নাগাদ বিহারের কিশনগঞ্জে প্রবেশ করে রাহুলের ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা। ২০০৯ সালের লোকসভা নির্বাচন থেকেই বিহারের এই কেন্দ্রটি কংগ্রেসের দখলে। আগামী কাল ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা যাবে পূর্ণিয়া এবং পরশু যাবে কাটিহারে। এই দু’টি জেলাই জেডিইউ-এর শক্ত ঘাঁটি। বর্তমানে বিহারে বদলেছে রাজনৈতিক সমীকরণ। এদিন কিশনগঞ্জের খাগড়ার স্টেডিয়ামে একটি জনসভায় বক্তব্য রাখেন রাহুল গান্ধি।
এদিন তিনি বিজেপির বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়ে বলেন, “মণিপুর হিংসায় নরেন্দ্র মোদি নীরব ছিলেন। বিজেপি দেশে ধর্মের নামে বিভেদ তৈরির সৃষ্টি করছে। দেশে হিংসা বিভেদ ছড়াচ্ছে। মানুষ আর্থিক, সামাজিক ন্যায় পাচ্ছেন না। দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি, হিংসা, বিভেদ ভুলে সারা দেশকে একসূত্রে বাঁধতেই ভারত জোরো ন্যায় অভিযানে বেরিয়েছেন। ভালোবাসার মধ্য দিয়েই হিংসা দূর করতে চাই। এটাই কংগ্রেসের নীতি।”
এদিন রাহুল গান্ধি আরও বলেন, মোদি সরকার আম্বানি আদানিদের জন্য সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। কিন্তু ছোট ছোট ব্যবসায়ী, খেঁটে খাওয়া মানুষের কথা তাঁদের ভাবার সময় নেই। এই বিজেপি সরকার জাতিগত বিভেদকে প্রশ্রয় দিচ্ছে। এদিন সভা শেষে সাংবাদিকরা নীতীশের প্রসঙ্গে নিয়ে জিজ্ঞাসা করলেও কোনও উত্তর দেননি রাহুল গান্ধি।